অনেকেই ওষুধের দোকান থেকে সমস্যার কথা বলে ওষুধ কিনে খান। আমাদের দেশে এই কালচার বহুল প্রচলিত। ওষুধের দোকানে যিনি থাকেন তিনি শুধু ওষুধের নাম আর কিছু ব্যবহার জানেন। তারাই আবার অনেক সময় ডাক্তার সেজে চিকিৎসা করেন। কেউ কেউ বড় ! চিকিৎসক সেজে যান । অনেক ফার্মেসিতেই আজকাল প্রেসক্রিপশনেরও প্রয়োজন হয় না। যাওয়া মাত্রই ওষুধ দিয়ে দেন।
কোমর ব্যথা হাঁটুর ব্যথার প্রচুর রোগী আমাদের দেশে। এরকম হলেই তারা পল্লী চিকিৎসক বা হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে চলে যান । তারাও ব্যথার ওষুধ দিয়ে দেন চিন্তা ভাবনা ছাড়াই । রোগী খেয়ে আরাম বোধ করেন। তারপর নিজের মতো করেই খেতে থাকেন। তারপর একসময় যখন জটিলতা শুরু হয় তখন যান ডাক্তারের কাছে। অনেক সময় অনেক দেরি হয়ে যায় । তখন আর কিছুই করার থাকেনা।
অনেকে আবার ব্যথানাশক ওষুধ এর সাথে স্টেরয়েড ওষুধ খায়। স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ বিভিন্ন রোগ ধামাচাপা দিতে ভাল কাজ করে। । অনেক রোগেই দেওয়া যায়। চিকিৎসকরা দেন একটু নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে । ওষুধের দোকান থেকে কিনে কেউ বছরের পর বছর খেয়ে যাচ্ছে। এভাবে ব্যথানাশক ওষুধ অনেক দিন খাওয়ার পর কিডনিতেও সমস্যা হয়। পেপটিক আলসার হয়। আরও নানা সমস্যা হয়।
ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার ব্যাপারে সাবধান হতে হবে। যেন তেন কারনে যখন তখন ব্যথার ওষুধ খাওয়া যাবে না। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ খাওয়াই ঠিক নয়। সচেতন হতেই হবে। কারণ অসচেতনতার ফলে অনেকেই আজ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হয়ে নানা কষ্টের মধ্যে দিন অতিবাহিত করছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন