শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

চরিত্রহীন শিক্ষক জাতির জন্য দুর্ভাগ্য -ফেনীতে জমিয়ত মহাসচিব

ফেনী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১২ এপ্রিল, ২০১৯, ৯:০৯ পিএম

ফেনীর সোনাগাজী ফাজিল মাদ্রাসা ছাত্রী ও আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহানকে অগ্নিদগ্ধ করে হত্যার ঘটনায় শোক জ্ঞাপন করতে শোকসন্তপ্ত পরিবারের কাছে যান মাদ্রাসা শিক্ষকদের একমাত্র অরাজনৈতিক সংগঠন জমিয়াতুল মোদার্রেছিনের মহাসচিব মাও. শাব্বির আহমদ মোমতাজী। এসময় তিনি শোকগ্রস্থ পরিবার ও এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা দেশের মাদ্রাসা শিক্ষার ইতিহাসে অতীতে কখনো ঘটেনি।
এটি মাদ্রাসা শিক্ষা ও শিক্ষকদের চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। শিক্ষকরা নীতি নৈতিকতা শিক্ষা দেয়। তাদের মাঝে এরকম শিক্ষক তৈরি হলে তা জাতি ও শিক্ষকদের জন্য দুর্ভাগ্য। এদেরকে এখনই চিহ্নিত করতে হবে। এ ধরনের চরিত্রহীনকে শিক্ষকতা থেকে বিদায় করে দিতে হবে। না হয় তাদের অপকর্মে এদেশে মাদ্রাসা শিক্ষা ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় জমিয়ত নেতৃবৃন্দ অত্যন্ত লজ্জিত, মর্মাহত ও ব্যথিত। নুসরাতের গায়ে আগুন দেয়ার ঘটনা শুনে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যান। এ অবস্থা দেখে তিনি নিজেই কয়েকদিন অস্থির ছিলেন বলে মন্তব্য করেন।
মানুষের মৃত্যু একটি স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু এ ধরনের মৃত্যু কারো কাম্য নয়। নুসরাতকে হারানোর ব্যথা অনুভব করছে সারাদেশের মানুষ। তিনি এলাকাবাসী এবং পরিবারের সদস্যদের এ শোক সহ্য করার মতো নয় বলে মন্তব্য করেন। নুসরাতের উপর হামলার ঘটনায় মোমতাজী অভিযুক্ত অধ্যক্ষের এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার কঠোর শাস্তি দাবী করেন।
নুসরাতের ব্যাপারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তাকে সাধুবাদ জানান তিনি। নিহতের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দেশের সকল মাদ্রাসা ও মসজিদে দোয়া করার জন্য জমিয়াতুল মোদার্রেছিনের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
মহাসচিব বলেন, মাদ্রাসা অধ্যক্ষ সিরাজাউদ্দৌলা জমিয়াতুল মোদার্রেছিনের সদস্য নয়। সে জামায়াতে ইসলামের নেতা। জামাতের রাজনীতি করার কারণে সে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত জামাত নেতা মাও. দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর সংগঠন “বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদ”-এর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। জমিয়ত কখনো এ ধরনের অপরাধীদের প্রশ্রয় দেবে না। তাকে জমিয়ত অতীত, বর্তমান বা ভবিষ্যত কখনোই প্রশ্রয় দেবো না।
জমিয়তের কেন্দ্রীয় মহাসচিবের সাথে নুসরাতের বাড়িতে যান ফেনী জেলা জমিয়ত নেতৃবৃন্দ। এসময় মহাসচিবের উপস্থিতিতে জেলা জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের পক্ষ থেকে শোকগ্রস্থ পরিবারকে নগদ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। এসময় জমিয়তের কেন্দ্রীয় নেতা, কুমিল্লা ও ফেনী জেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন