শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনা করেই চট্টগ্রামের উন্নয়ন করতে হবে

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শেষ হচ্ছে সোমবার

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৩ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

 স্বাধীনতাকালে ঢাকা-চট্টগ্রামের গুরুত্ব একই থাকলেও ক্রমান্বয়ে কেন্দ্রীকরণের জন্য চট্টগ্রাম পিছিয়ে পড়ে। অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনা করেই চট্টগ্রামের উন্নয়ন এগিয়ে নিতে হবে। চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি আয়োজিত ২৭তম চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তাগণ এমন অভিমত দেন।
গতকাল শুক্রবার আগ্রাবাদে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। চেম্বার প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান, চেম্বার সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ এবং ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ব্রিটিশ শাসন আমলের আসাম বেঙ্গল রেলওয়ের হেডকোর্য়ার্টার চট্টগ্রামে সমুদ্রবন্দরের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ১৯০৫ সালে। স্বাধীনতাকালে ঢাকা-চট্টগ্রামের গুরুত্ব একই থাকলেও ক্রমান্বয়ে কেন্দ্রীকরণের জন্য চট্টগ্রাম পিছিয়ে পড়ে। প্রধানমন্ত্রী এই সত্য উপলব্ধি করে কর্ণফুলী টানেলের মত উপমহাদেশে প্রথম টানেল নির্মাণ, চট্টগ্রামের মূল শহরের সমান জায়গা নিয়ে মীরসরাই ইকনোমিক জোন ও অন্যান্য মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। তিনি প্রশাসনিক সুবিধার জন্য চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ও সিটি কর্পোরেশনের আওতা বৃদ্ধির প্রস্তাব করেন।
পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে আইন-শৃংখলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক। ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরী করতে না পারলে উন্নত দেশের স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে। চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, মেলার উদ্দেশ্য হচ্ছে স্থানীয় বাজারে দেশীয় পণ্যের পরিচিতি লাভ। এ মেলার মাধ্যমে পরিচিতি পাওয়া এন.মোহাম্মদ প্লাষ্টিক, আরএফএল, বিআরবি ক্যাবল ইত্যাদি পণ্য বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। অনেক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্তে¡ও মেলায় মানসম্পন্ন পণ্য প্রদর্শনের চেষ্টা করা হয়। ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার শ্রী অনিন্দ্য ব্যানার্জী বলেন, ১৯৭১ সাল থেকে ভারত বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। বাংলাদেশে ভারতের লাইন অব ক্রেডিট প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার যা এক্ষেত্রে যে কোন দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। তিনি ভবিষ্যতেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠান শেষে মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পার্টনার কান্ট্রি থাই প্যাভিলিয়ন, বিদেশী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এসিস্ট্যান্ট হাই কমিশন অব ইন্ডিয়া, এস এইচ কারুকর্ম, পিএনএল হোল্ডিংস লিমিটেড, রাজ টেক্সটাইল, স্টেপ ফুটওয়্যার, হাতিল কমপ্লেক্স লিমিটেড, আবুল খায়ের মিল্ক প্রোডাক্টস লিমিটেড এবং এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে এ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন