আমিনুল হক, মীরসরাই (চট্টগ্রাম) থেকে : মীরসরাই উপজেলার দৈন্যদশায় থাকা কয়েকটি সড়কের মধ্যে মিঠাছরা-বামনসুন্দর সড়কটি অন্যতম। ইতিমধ্যে কিছু রাস্তা সংস্কার হলে ও বেশ কিছু রাস্তার ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কিত সকলে। তবে উপজেলা প্রকৌশলী বলছেন, শীঘ্রই সকল রাস্তার উন্নয়ন হবে। কিন্তু বার বার প্রতিশ্রুতি দেবার পরও উন্নয়ন কাজের বাস্তবতা কেউ দেখছে না বলে শঙ্কিত সকলে। কয়েকটি রাস্তায় জন দুর্ভোগ কমেনি কয়েক বছর ধরে। বিশেষ করে এলজিইডির অধীনে এসব রাস্তা নিয়ে এখনো উদাসীন সকলে। মীরসরাই উপজেলার মিঠাছরা বামনসুন্দর সড়কটি দিয়ে কাটাছরা ও ইছাখালী ইউনিয়নের প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষের বসবাস। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করছে চরম দুর্ভোগ নিয়ে। গত দুবছর আগে থেকেই প্রায় ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কের বিভিন্ন অংশে কার্পেটিং উঠে, কোথাও গর্ত, কোথাও উঁচুনিচু আবার কোথাও রাস্তাসহ পাশের খাদে ধসে পড়ে সিএনজি, মাইক্রো, পিকআপসহ কোন প্রকার যানবাহনই চলাচলের অনুপোযোগি হয়ে গেছে। করেরহাট ইউনিয়নের অলিনগর সড়কটিও একই দশা। প্রায় ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত এলাকার গুরুত্বপূর্ণ এই জনপদে এপারে ভাঙা রাস্তা আর নদীর ওপারে ভারত অংশে দেখা যায় সুন্দর সাজানো পরিপাটি রাস্তা। আবার কয়েকটি স্থানে রাস্তা চলে যাচ্ছে নদীর পেটে। কয়েক বছর আগে ব্লক বসানো হলেও সেখানে আবার ভেঙে যাচ্ছে পুরো সড়ক। কোন প্রকার সংস্কার না হওয়ায় দিন দিন যাচ্ছে আরো খারাপের দিকে। এছাড়া কমরআলী সাহেরখালী সড়কের ভূঞারহাট টু সমিতির হাট এবং গজারিয়া সড়কটিও চরম দূরবস্থায় রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। রাস্তার অনেকাংশ খালে পড়ে জমি দিয়ে ও পারাপার হতে হচ্ছে সর্বসাধারণকে। আবার ঠাকুরদীঘি মহামায়া সড়ক, মুহুরী প্রকল্প ভায়া মাদবরহাট সড়ক, আবুতোরাব মঘাদিয় সড়ক সহ কয়েকটি সড়ক দিয়ে ও চলছে জনদুর্ভোগ। এই বিষয়ে মীরসরাই উপজেলা প্রকৌশলী রাশেদ রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বামনসুন্দর সড়কটির প্রস্তাবনা দেয়া আছে এখনো অনুমোদন হয়নি। তবে শীঘ্রই এই সড়কের অনুমোদনও হবে বলে তিনি আশাবাদি বলে জানান। এছাড়া অবশিষ্ট সড়কগুলো ও চলতি বছরের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে বলে তিনি বলেন। তিনি আরো বলেন, চলতি অর্থবছরে মীরসরাই উপজেলার রাজস্ব ফান্ড থেকেই সর্বোচ্চ কাজ করা হয়েছে। অবশিষ্ট রাস্তাঘাট ও আগামী জুনের মধ্যে সম্পন্ন হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন