বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ফেসবুকে বর্ষবরণ: মঙ্গল শোভাযাত্রার পক্ষে-বিপক্ষে বিতর্ক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ এপ্রিল, ২০১৯, ৪:৫৫ পিএম

ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে সারাদেশে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হয়েছে। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নেয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। উৎসবে মেতেছিল পুরো দেশ। এ বছর ত্রিশ বছর পূর্তি করেছে ইউনেসকোর স্বীকৃতি পাওয়া মঙ্গল শোভাযাত্রা। বাঙালির বর্ষবরণের এই উম্মাদনা ছড়িয়ে পড়ে সামাজাকি যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।

রোববার সারাদিন সারাদেশে পান্তাভোজ, মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, মঙ্গল শোভাযাত্রা , ঘুড়ি ওড়ানো, হাড়ি ভাঙ্গা, ঘোড়া দৌড়া, জারিগান, কবিগান ,আলপনা প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, লোক সংগীত, লোক নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কাবিতা পাঠের আসর, কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতা, ভলিবল প্রতিযোগিতা, সায়ের গান, লাঠি খেলা, হাডুডু প্রতিযোগিতাসহ নানা অনুষ্ঠানে বর্ষবরণ করা হয়। নববর্ষের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি এসব আয়োজনের প্রতি মুহূর্তের ছবি/ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করতে ভুলেননি উৎসবপ্রিয় বাঙালিরা।

পহেলা বৈশাখ উদযাপন নিয়ে তেমন কোনো বিতর্ক না থাকলেও তবে এদিন মঙ্গল শোভাযাত্রা সহ কিছু আয়োজনের পক্ষে-বিপক্ষে তুমুল তর্ক-বিতর্ক লক্ষ্য করা গেছে। অনেকে মঙ্গলশোভা যাত্রা আবহমান কালের বাঙালি সংষ্কৃতি মানতে নারাজ। তারা যুক্তি প্রমাণ দিয়ে এটাকে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন তথা অপসংস্কৃতি হিসেবে প্রমাণ করছেন। তারা মনে করছেন, হিন্দুয়ানী এই সংস্কৃতিকে ‘সার্বজনীন’ হিসেবে চাপিয়ে দিয়ে মুসলমানদের ঈমান হরণের প্রচেষ্টা মাত্র। অন্যদিকে, মঙ্গল শোভাযাত্রার পক্ষে যারা তারাও তাদের পক্ষে যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করছেন। তারা এটাকে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার সমালোচনা করে ‘সার্বজনীন বাঙালি সংস্কৃতি’ হিসেবেই তুলে ধরছেন।

এদের মধ্যে ফেসবুক ব্যবহারকারী মো. রুবেল একজন। তিনি মন্তব্য করেছেন, ‘‘দল,মত ,ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বাঙ্গালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। এমন অসাম্প্রদায়িক প্রাণের সংযোগ আমাদের আর নেই..।’’

নাহিয়ান লিখেছেন, ‘‘আজকাল অনেকে বলে এই নববর্ষ নাকি মুসলিমদের উৎসব নয়,এটা হিন্দুদের।কারণ,এখানে রবীন্দ্রসংগীত হয়,এখানে মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়। যাদের রবীন্দ্র সংগীত নিয়ে এতো চুলকানি,তারাই কিন্তু ঈদের মতো একটা ধর্মীয় উৎসবের আগের রাতে সাউন্ডবক্সে হিন্দি গান বাজাই!
যে গান মনের মাঝে কোন অশ্লীলতার জন্ম দেয় না,সে গানে সমস্যা কোথায়?’’

‘‘বর্ষবরণ কোন সাম্প্রদায়িক অনুষ্ঠান নয়, এটা আমাদের বাঙ্গালির অনুষ্ঠান।আমরা যারা ধর্মের দোহাই দিই,তারা কয়জন আরবি মাস ফলো করে?আমরা সবাই ইংরেজি মাস ফলো করি,থার্টি ফার্স্ট নাইটে গানবাজনা বাজাই। তখনতো কেউ বলেন না,এইটা খ্রিস্টানদের উৎসব? আমরা কি উদ্ভাস্তু? আমাদের কি কোন পরিচয় থাকবে না? ধর্মবিশ্বাস কোন জাতির মূল পরিচয় হতে পারে না। আমাদের পরিচয় আমরা বাঙ্গালী। এই পরিচয়েই আমাদের মাথা তুলে দাঁড়াতে হবে বিশ্বে’’।

রাকিবুল হাসান মঙ্গল শোভাযাত্রার বিরোধীতার সমালোচনা করে লিখেছেন, ‘‘মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে দেখি অনেকের চুলকানি ধরছে! ভাল লাগেনা, আসবিনা। তোরে কেউ আসতে কইছে!!!অনেকে আবার হিন্দু ধর্মীয় রীতি বলতেছে!!এটা আরও বড় ধরনের স্টুপিডিটি। অন্য ধর্মকে কটাক্ষ করার অধিকার ইসলাম তোমাকে দেয়নি। সংস্কৃতিকে ধর্মের সাথে মিলানোর দরকার নাই।।’’

রাকিবের মতো আবদুল আহাদ বলেন, ‘‘পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে অনেকের চুলকানি যে এখানে নাকি হিন্দুদের দেব দেবীদের আদলে মূর্তি নিয়ে যাত্রা হয়। কিন্তু দেব দেবীর মাথা আমি দেখি না কেন?? শোভাযাত্রার অন্যতম অনুষঙ্গ থাকে বাঁশ এবং কাগজের তৈরি নানা ভাস্কর্য। যা তৈরি হয় কোন একটি প্রতিপাদ্যের ওপর ভিত্তি করে। এবং তা করে চারুকলার ছাত্র ছাত্রীরা। এসব মুখোশ বা অন্যান্য মোটিফের যে কোন একটা বৈশিষ্ট্য আছে, লোকসংস্কৃতির মধ্যে থেকে উপাদানগুলো বেছে নেয়া হয়েছিল।সোনারগাঁয়ের লোকজ খেলনা পুতুল, ময়মনসিংহের ট্যাপা পুতুল, নকশি পাখা, যাত্রার ঘোড়া এসব নেয়া হয়েছিল। শুরু থেকেই লক্ষ্য ছিল এই শোভাযাত্রাটিতে বাঙ্গালির ঐতিহ্য থেকে উপাদান নেয়া হবে এবং তাই হয়ে আসতেছে।’’

মঙ্গল শোভাযাত্রার বিপক্ষে যুক্তি-প্রমাণ

মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য বলে দাবি করা হয়। যারা এ বিষয়টি মানতে নারাজ তাদের মধ্যে একজন হলেন জিয়া উদ্দীন। ফেসবুকে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘১৯৮৯ সালে সৃষ্টি মঙ্গল শোভাযাত্রা কিভাবে বাঙালি জাতির হাজার বছরের ঐতিহ্য হয়..?’’

মঙ্গল শোভাযাত্রা সম্পর্কে বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ লিখেছেন, ‘‘শোভা যাত্রাকেও ব্রাহ্মণ্যবাদী সংস্কৃতির নগ্ন প্রদর্শনী বলা চলে। মনসাপট, লক্ষীর সরা, বেদ-এ বর্ণিত নানা দেবদেবীর বাহন বিভিন্ন পশুপাখির ডামি, পূরাণের নানা অসূর, রাক্ষস, ভূত-প্রেত, প্যাঁচার মুখোশ সহকারে এই শোভাযাত্রা বের হয়। আগামী বছরের সুফলা কামনা করে ধনের দেবী লক্ষ্ণীর সরা রাখা হয়, বিদ্যার উন্নতি কামনা করে বিদ্যার দেবী সরস্বতীর বাহন হংস ও বীণা রাখা হয়, অমঙ্গল থেকে দুরে থাকতে অমঙ্গলের দেবী মনসার পট রাখা হয় এই মঙ্গল শোভাযাত্রায়। আর মুসলিম তরুণ তরুণীরা সংস্কৃতির নামে তা গলাধঃকরণ করে নিজের অজান্তেই শিরক-এর সাথে জড়িয়ে পড়ছে।’’

‘‘পহেলা বৈশাখের নামে বা নববর্ষ উদযাপনের নামে যুবক-যুবতী, কিশোর-কিশোরীদেরকে অশ্লীলতা ও বেহায়াপনার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আজ থেকে কয়েক বছর আগেও এদেশের মানুষেরা যা জানত না এখন নববর্ষের নামে তা আমাদের সংস্কৃতির অংশ বানানো হচ্ছে। আসলে সংস্কৃতি কি? সংস্কৃতির সংজ্ঞা খুজলে আমরা দেখতে পাইসংস্কৃতি বলতে বোঝায়, একটা জাতির দীর্ঘদিনের জীবনাচরণের ভেতর দিয়ে যে মানবিক মূল্যবোধ…’’ লিখেছেন ডা. ময়নুল ইসলাম।


সফিকুল ইসলাম লিখেছেন, "মঙ্গল শোভাযাত্রা" ও "পহেলা বৈশাখ" সম্পর্কিত আমার প্রশ্ন? পেঁচার মূর্তি, বাঘের মূর্তি, জীব জানোয়েরের মূর্তি মানুষের মঙ্গল-অমঙ্গল করার কোন ক্ষমতা রাখে না। মঙ্গল-অমঙ্গলের মালিক একমাত্র আল্লাহ সুবহানাতায়ালা। এসব মূর্তিকে আল্লাহর স্থলাভিষিক্ত করা নিঃসন্দেহে শিরক, কুফরি। এখন কেউ কি প্রমাণ করে দিতে পারবেন যে, মূর্তিকে মঙ্গল প্রদানকারী রূপে গণ্য করলে কেউ কাফির-মুশরিকে পরিণত হবে না?’’

‘‘যে জাতি পচা ভাত আর মরিচ খেয়ে পেচা আর প্রেত্নী নাচ দিয়ে বছর শুরু করে, সে জাতি উন্নতি লাভ করবে কি করে?’’ প্রশ্ন খলিল ফখরুলের।

সাগর আব্দুল্লাহ আল হোসাইন লিখেছেন, ‘‘পহেলা বৈশাখ কখনো বাংগালির হাজার বছরের সংস্কৃতি নয়, এইটা স্রেফ কয়েক শতক আগে আসা হিন্দুদের প্রকৃতি, জিব- জন্তু আর সুর্য পুজার সংস্কৃতি.! কিন্তু বর্তমান মিডিয়া বাংগালির সংস্কৃতির দোহাই দিয়ে আমাদের মুসলিমদেরকে বোকা বানাচ্ছে এবং আল্লাহর সাথে বিভিন্ন ভাবে শিরক করাচ্ছে।’’

‘‘বাংলা নববর্ষ বাঙালির ঐতিহ্য, তার মানে এই না যে এটা নিয়ে লাফালাফি করতে হবে! লাফালাফি না করে নতুন সংস্কৃতি তৈরি করুন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে কয়েকটা করে তরমুজ কলা আপেল মালটা গুলো পাঠিয়ে দিলেই তো হয়! পান্তা ইলিশ না খেয়ে রাস্তার পাশের ক্ষুধার্ত ছেলেমেয়ে গুলোকে পেট ভরে খাওয়ানোর মত মরদ পাওয়া যায় না’’ আক্ষেপের সাথে কথাগুলো লিখেছেন শাকিল মজুমদার।

মঙ্গল শোভাযাত্রা ও পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে ফয়সাল আহাম্মেদ বলেন, ‘‘হিন্দুরা তাদের সংস্কৃতি পালন করবে আমাদের কোন সমস্যা নাই। যেমন -তারা পূজা করে আমরাতো কোন সমস্যা করি না। তবে সমস্যা ঐখানে যখন হিন্দুয়ানা সংস্কৃতিকে বাঙালীর সংস্কৃতি বলে চালিয়ে দিতে চায়।’’

রানা আহমেদ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘হাতি,বাঘ,সাপ,কেচু,গরুর কাছে প্রার্থনা করে মংগল শোভাযাত্রার ফল হিসাবে দেশে কয়দিন পরপর আগুন লাগে, মায়ের জাত মেয়েরা শ্লীতাহানির শিকার হয়,আল্লাহর গজব নাজিল হয়, এই শিরকি শোভাযাত্রায় যারা যাবে তারা প্রত্যেকে আল্লাহর সাথে শিরক করবে। মুসলিম হিসাবে এটা আমরা করতে পারি না।’’

সৈয়দ মিল মিয়াহ মন্তব্য করেন, ‘‘রাস্তায় মূর্তি নিয়ে মিছিল করলে দেশে মঙ্গল আসবে- এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা জানতে চাই। একই প্রশ্ন বিগত চার বছর ধরে করে আসছি, এখনও এর উত্তর পাইনি। উত্তর না পেয়ে আমি অত্যন্ত হতাশ।’’

ভিপি সাইফুল ইসলাম মন্তব্য করেন, ‘‘আমার প্রথম পরিচয় আমি মুসলিম এর পরে বাংঙ্গালী। তথাকথিত বাংঙ্গালী সংস্কৃতি সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নাই, তাই মুসলিম হিসেবে আমারও নাই।আর যে নিজেকে মুসলিম হিসেবে দাবী করে তারও থাকার কথা নয় । এটা অন্য একটা ধর্মের পূজা, যা আমি মুসলিম হিসেবে পালন করা গুনাহের কাজ।’’

ফেসবুক ব্যবহারকারী আব্দুল্লাহ শাহীন বলেন, ‘‘সংস্কৃতি চাই অপসংস্কৃতি বা সংস্কৃতির নামে বেহায়াপনা চাই না। সংস্কৃতি আমার জীবনের একটা অংশ।.. সুন্দর সংস্কৃতিতে যারা অশ্লীলতা যোগ করছে বা করতে চাচ্ছে তাদের প্রতিহত করার জন্য অবশ্যই আমাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে...। ’’

‘‘আজ মঙ্গল শোভাযাত্রা, মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন ও মঙ্গলসঙ্গীত ইত্যাদি হিন্দুদের পৌত্তলিক ধর্মাচারকে তথাকথিত হাযার বছরের বাঙালী সংস্কৃতি ও সার্বজনীনতার মিথ্যা দোহাই দিয়ে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ তৌহিদী জনতার ওপর চাপিয়ে দেয়ার ব্যাপক অপচেষ্টা চলছে। যা ব্রাহ্মণ্যবাদ ও আধিপত্যবাদের সুপরিকল্পিত চক্রান্তের ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের অংশ মাত্র। আমরা এগুলি থেকে জাতিকে সাবধান করছি।’’ লিখেছেন এস আলম।

মেহেদী মাসুদ মন্তব্য করেন, ‘‘সার্বজনীন’ অর্থ কি? এটা কি তাহ’লে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবারই সংস্কৃতি? অথচ আমরা জানি হিন্দুদের প্রধান চারটি দলের মধ্যে পরস্পরে হিংসার কারণে তাদের পৃথক পৃথক মন্দির রয়েছে। সেখানে অন্যেরা প্রবেশ করতে পারে না। কিন্তু যেসব মন্দিরে সব মত ও পথের হিন্দুরা পূজা দিতে পারে, সেগুলিকে বলা হয় ‘সার্বজনীন মন্দির’। অতএব ‘সার্বজনীন’ শব্দটি যেখানে হিন্দুদের কাছেই সার্বজনীন নয়, সেটাকে বাঙালীর হাযার বছরের সংস্কৃতি বলা এবং ধর্মনিরপেক্ষতার দোহাই দিয়ে হিন্দুদের মূর্তি ও মুখোশ মিছিল এবং অনুষ্ঠান সমূহকে ‘সার্বজনীন’ বলে মুসলমানদের মানতে বাধ্য করা কেমন ধরনের প্রগতিশীলতা?’’

নাঈম আহমেদ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘বলা হচ্ছে ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’। তাহ’লে কি মুসলমানরা গিয়ে হিন্দুদের ‘দুর্গা পূজা’র উৎসবে যোগ দিবে? অন্যদিকে হিন্দুরা এসে কি ‘ঈদুল আযহা’র গরু কুরবানীর উৎসবে অংশগ্রহণ করবে? হাতির বাইরের দু’টি দাঁত থাকে। আর ভিতরে থাকে আসল দাঁত। যা দিয়ে সে চিবিয়ে খায়। এইসব উৎসববাদীরা আসলেই সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদীদের পদলেহী কি-না, সেটাই বিবেচ্য বিষয়।’’

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন