থাইরয়েডের সমস্যা এখন যেন এক স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বরযন্ত্রের দুই পাশে থাকা একটি বিশেষ গ্রন্থি হল থাইরয়েড। আমাদের শরীরের কিছু অত্যাবশ্যকীয় হরমোন (থাইরয়েড হরমোন) উৎপাদন করাই এই গ্রন্থির কাজ। শরীরের জন্য এই থাইরয়েড হরমোনের একটি নির্দিষ্ট মাত্রা আছে। মাত্রা থেকে কম বা বেশি হরমোন উৎপাদিত হলে শরীরের উপর বিভিন্ন রকমের বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করে। আর এ থেকে শুরু হয় থাইরয়েডের সমস্যা। এ সমস্যা দুই ধরণের থথ(১) থাইরয়েড হরমোন কম উৎপন্ন হলে তাকে বলা হয় হাইপোথাইরয়েডিজম এবং (২) বেশি উৎপন্ন হলে বলা হয় হাইপারথাইরয়েডিজম। মেয়েদের মধ্যে থাইরয়েড সমস্যা একটু বেশিই লক্ষ্য করা যায়। তবে কিছু নিয়ম মেনে চলতে পারলে থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। বেশ কিছু খাদ্য-দ্রব্য আমাদের থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে ঃ
১. আয়োডিন যুক্ত খাবার থাইরয়েডের সমস্যা কমাতে খুবই কার্যকরী। আয়োডিন যুক্ত লবণ দিয়ে খাদ্যদ্রব্য রান্না করে খাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া কলা, গাজর, স্ট্রবেরি, দুধ, সামুদ্রিক মাছ, শাকপাতা ও মৌসুমি সবজিতে যথেষ্ট পরিমাণ আয়োডিন রয়েছে। এগুলো খাদ্য তালিকায় বেশি বেশি অন্তর্ভুক্ত থাকলে আয়েডিনের অভাব পূরণ হবে।
২. থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রোটিন খুবই জরুরি। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে। চিজ, পনির, ডিম, মুরগির গোস্ত পরিমিত পরিমাণে খেলে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড ঠিক মতো কাজ করতে পারে।
৩. থাইরয়েড ভালভাবে কাজ করার জন্য রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম খুব জরুরি। তাই রাতের ঘুমের সঙ্গে কোনও আপোশ নয়। অনেকে রাতে জেগে থেকে দিনে বা ভোরের দিকে ঘুমান। এটি তখনই ভাল যখন দিনের বেলাতেও পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম হয়।
৪. থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে সঠিক ডায়েটের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদিন নিয়মিত শরীরচর্চা বা ব্যায়াম করাও জরুরি। সাইকেল চালানো বা সাঁতার থাইরয়েডের সমস্যা কমাতে খুবই কার্যকরী। সূত্র: জিনিউজ
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন