গফরগাঁও উপজেলায় এক লাখ যৌতুক না পেয়ে সাথী আক্তার(১৪)নামে কিশোরী নববধূকে গলা টিপে হত্যা করেছে স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজন।এঘটনায় নিহত কিশোরী বাবা আব্দুল লতিফ বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে গফরগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।মামলায় আসামী করা হয়েছে নিহত সাথী আক্তারের স্বামী শারফুল ইসলাম,শাশুড়ি জোসনা বেগম,দেবর রাকিব,ননদিনী নাছিমা আক্তার ও ননদিনীর জামাই কবীরসহ ৬জনকে।গফরগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ খান জানান,ঘটনায় অভিযুক্ত মামলার ননদ নাছিমা খাতুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানাগেছে,গতবছরের নভেম্বর মাসে উপজেলার রাওনা ইউনিয়নের ছয়বাড়িয়া গ্রামের কালু মিয়ার ছেলে ব্যবসায়ী শারফুল ইসলাম(২৯)সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় চরমছলন্দ জিরাতিপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল লতিফের মেয়ে চরমছলন্দ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী সাথী আক্তারের।মেয়ের সুখের চিন্তা করে বিয়ের সময় হতদরিদ্র কৃষক আব্দুল লতিফ বর পক্ষকে এক লাখ টাকা যৌতুক দেয়।বিয়ের প্রায় দুই মাস যেতে না যেতেই স্বামী শারফুল ইসলাম ব্যবসার জন্য স্ত্রী সাথী আক্তারের কাছে আরও এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে।দাবীকৃত যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্বামী শারফুর,শাশুরী জোসনা বেগম,ননদ নাছিমা,সাবিনা ইয়াসমিন কিশোরী নববধূ সাথী আক্তারকে শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল কয়েক দিন যাবত।পহেলা বৈশাখ রাতে যৌতুকের জন্য স্বামী শারফুল স্ত্রী সাথী আক্তারকে জোরপূর্বক মুখে ঘুমের ট্যাবলেট দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়।এতে সাথী আক্তার অসুস্থ্য হয়ে পড়লে আশংকা জনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে সাথী আক্তারকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় স্বামী শারফুলের বোন জামাই চরমছলন্দ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দপ্তরী কবীর মিয়ার বাড়িতে।এসময় সাথী আক্তারের সাথে স্বামী শারফুল ও তার বাড়ির লোকজনও চরমছলন্দ গ্রামে কবীর মিয়ার বাড়িতে চলে আসে।
নিহত কিশোরীর বাবা আব্দুল লতিফ অভিযোগ করে বলেন,মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেয়ের জামাতা শারফুল,বোন জামাই কবীর মিয়া জানান,সাথী আক্তার আতœহত্যা করেছে।খবর পেয়ে আমি গিয়ে দেখি লাশ কবীর মিয়ার ঘরের খাটে রাখা। সাথীর গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে।তিনি অভিযোগ করে বলেন,যৌতুতের জন্য আমার মেয়েকে তার স্বামী ও শশুর বাড়ির লোককজন গলাটিপে হত্যা করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন