নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের রাম গোপালপুর গ্রামে বুধবার সকালে তাবলীগ জামাতের জোবায়ের পন্থী ও সাদপন্থী দু-গ্রুপের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
আহতদের মধ্যে সাদ পন্থী হাসনপুর গ্রামের হাফেজ ওহিদুজ্জামান, কুলিয়াটি গ্রামের মোঃ দেলোয়ার হোসেন ও আব্দুল কদ্দুছকে মদন হাসপাতালে এবং জুবায়ের গ্রুপের দেওসহিলা গ্রামের মুফতি ওমর ফারুক, রাম গোপলপুর হাফিজিয়া মাদ্রাসার মুফতি সোলায়মান, হাফেজ খাইরুল ইসলাম, মওলানা এনামূল হক, মোঃ শহিদুল ইসলাম, শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান, আব্দুল ওয়াদুদকে পাশের উপজেলা তাড়াইল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সাদ পন্থী হাফেজ ওহিদুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ ফতেপুর ইউনিয়নের রাম গোপালপুর এলাকায় তাবলীগের দাওয়াতের কাজ করছিল। খবর পেয়ে জুবায়ের পন্থী লোকজন তাদের বাঁধা দেয়। এ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে এলাকায় উত্তেজনা চলছিল। বুধবার সকালে ওহিদুজ্জামানের নেতৃত্বে ১৬ জন মোটর সাইকেল যোগে দাওয়াতের উদ্দেশ্যে ফতেপুর রামগোপালপুর বড় বাড়ির মিশন চৌধুরীর বাড়িতে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে বাড়ির সামনে ভরাট পুকুরে পৌঁছা মাত্রই জুবায়ের পন্থী মুফতি ওমর ফারুকের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে দু-গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
আহত হাফেজ মৌলানা ওহিদুজ্জামান জানান, আমরা মিশন চৌধুরীর বাড়িতে থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই মুফতি ওমর ফারুকের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা একটি মোটর সাইকেলও ভাংচুর করে। এ ব্যাপারে আমি আইনের আশ্রয় নিব।
মুফতি ওমর ফারুক জানান, গত সোমবার ফতেপুর হাটশিরা বাজার মসজিদে সাদপন্থী হাফেজ ওহিদুজ্জামানকে এলাকার উত্তপ্ত পরিস্থিতি বর্ণনা করে তাবলীগের দাওয়াতের কাজ বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ করি। কিন্তু তিনি তা অমান্য করে বুধবার সকালে মিশন চৌধুরীর বাড়িতে দাওয়াত নিয়ে আসেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে এর প্রতিবাদ জানান।
এ ব্যাপারে ওসি মোঃ রমিজুল হক জানান, তাবলীগ জামাতের দু-গ্রুপের সংঘর্ষের খবর পেয়েছি। কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন