শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

কেশবপুরে মোবাইল সিম ডুপলিকেট করে চাঁদাদাবি

প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কেশবপুর (যশোর) উপজেলা সংবাদদাতা : যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কেশবপুর জোনাল অফিসের ডিজিএ এর ব্যবহৃত মোবাইলের সিম ক্লোন (ডুপ্লিকেট) করে জনতা ব্যাংক কেশবপুর শাখার ম্যানেজারের কাছে চাঁদা দাবি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কেশবপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জনতা ব্যাংক কেশবপুর শাখার ম্যানেজার শেখ সাইফুদ্দিনের ব্যবহৃত মোবাইলে গত সোমবার সকাল ৯টা ৫৪ মিনিটে পল্লী বিদ্যুতের কেশবপুর জোনাল অফিসের ডিজিএমের মোবাইলের সিম ব্যবহার করে ৫ হাজার টাকা চাওয়া হয়। সিম ব্যবহারকারী নিজেকে ডিজিএম পরিচয় দিয়ে বলেন তার পা ভেঙ্গে যাওয়ায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিধায় তাৎক্ষণিক ৫ হাজার টাকা দিতে হবে। ম্যানেজার শেখ সাইফুদ্দিন তার মোবাইলে ডিজিএমের নামে সেভ করা নম্বর থেকে কলটি আসায় তখনই টাকা নিয়ে হাসপাতালে যেতে চাইলে সিম ব্যবহারকারী তাকে হাসপাতালে যেতে আপত্তি করেন এবং ০১৯২০-৩৩২৮৯৮ নম্বর মোবাইলে টাকা বিকাশ করতে বলেন। কিন্তু কন্ঠ সন্দেহজনক হওয়ায় ব্যাংক ম্যানেজার নিজেই বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে ডিজিএমের সাথে সাক্ষাৎ করে জানতে পারেন ডিজিএমের মোবাইল থেকে কোন ফোনকল ম্যানেজারের মোবাইলে যায়নি। তখন টাকা বিকাশের জন্য সরবরাহকৃত ০১৯২০-৩৩২৮৯৮ নম্বরে ফোন করে জানা যায় ঘটনাটি কোন একটি প্রতারক চক্রের কাজ। পল্লী বিদ্যুৎ কেশবপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, তার ব্যবহৃত কর্পোরেট ০১৭৬৯-৪০০১৬৮ নম্বরটি কোন হ্যাকার ক্লোন বা হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ব্যবহার করে বিভিন্ন সময়ে ফোন দিয়ে বিভিন্ন গ্রাহক, প্রতিষ্ঠান ও গণ্যমান্য ব্যক্তির নিকট চাঁদাদাবি এবং বিভিন্ন রকম অশ্লীল কথা বলে অফিসের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করে আসছে। পৌরসভা নির্বাচনের ২ দিন আগে ডিজিএমের উক্ত নম্বর ব্যবহার করে কেশবপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসারের মোবাইলে ফোন করেন এবং নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন কটুক্তি করেন। পরে তিনি থানায় ৭৬২ নং জিডি করেছেন।   

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন