শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

উপক‚লে প্যারাবন রক্ষা ও টেকসই বেড়িবাঁধ নিশ্চিত করতে হবে

সেমিনারে বক্তারা

বিশেষ সংবাদদাতা কক্সবাজার : | প্রকাশের সময় : ১৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

 সাগর উপক‚লে প্যারাবন রক্ষা ও টেকসই বেড়িবাঁধ নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় আগামীতে উপক‚ল নামে কোন এলাকাই থাকবেনা। বিলীন হয়ে যাবে সাগরে। কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত উপক‚লীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি হ্রাসের জন্য বাজেট বৃদ্ধি আবশ্যক শীর্ষক প্রাক-বাজেট সেমিনারে বক্তারা এমন মন্তব্য করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় কোস্ট ট্রাস্ট পরিচালিত জলবায়ু অর্থায়ন ও বাস্তবায়নের স্বচ্ছতা অর্জন কৌশল প্রকল্পের উদ্যোগে কক্সবাজার জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক।
চকরিয়া জলবায়ু ফোরামের সভাপতি এখলাছুল কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রতিপাদ্য বিষয় উপস্থাপন করেন কোস্ট ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক মকবুল আহমেদ।

প্রধান অতিথি আশেক উল্লাহ রফিক এমপি বলেন, আমি কক্সবাজার জেলার অনেকগুলি দ্বীপের এমপি এবং প্রতিনিধি। আমাকে প্রতিনিয়ত দ্বীপের ও দ্বীপের মানুষের সুরক্ষার কথা ভাবতে হয়। তিনি বলেন, বর্তমানে পৃথিবীর কোনো উন্নত দেশে মাটির বেড়িবাঁধ নেই, সবাই কংক্রিটের বাঁধ দিয়ে দীর্ঘস্থায়ী বেড়িবাঁধ তৈরি করে। বাংলাদেশ সরকারকেও টেকসই বেড়িবাঁধ করার জন্য কংক্রিটের বেড়িবাঁধ তৈরির পথে যেতে হবে।
এমপি আশেক উল্লাহ বলেন, এই সরকারের আমলে কোনো এমপি, কোনো নেতার নেতৃত্বে প্যারাবন দখল হয়নি। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই প্যারাবন রক্ষা করতে হবে এবং প্যারাবন বৃদ্ধি করতে হবে।
কক্সবাজার জেলা সদরে এবং বিভিন্ন উপজেলায় খাবার পানির সংকট প্রসঙ্গে সেমিনারের প্রধান অতিথি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের সকল মানুষকে নিজ নিজ বাড়িতে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার পরিকল্পনা গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, আমাদেরকে নিজ নিজ বাড়িতে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার প্লান করতে হবে এবং তাতে অন্তত ছয় মাস আমরা বিশুদ্ধ বৃষ্টির পানি ব্যবহার করতে পারবো। তা যদি করতে পারি তা হলে আমরা ছয় মাস আন্ডারগ্রাউন্ড পানি তোলা থেকে বিরত থাকতে পারবো।
এমপি আশেক উল্লাহ রফিক কুতুবদিয়া দ্বীপের বেড়িবাঁধ নির্মানের স্থবিরতা প্রসঙ্গে বলেন, যাদের বেড়িবাঁধ নির্মানের অভিজ্ঞতা নেই এবং পুঁজি নেই তারাই বেড়িবাঁধ নির্মানের সাব-টিকাদার হিসেবে কাজ করছেন। তাই কাজের আশানুরূপ অগ্রগতি দেখতে পাওয়া যায় না।
সেমিনারের সভাপতি এখলাছুল কবির বলেন, যে সিগারেট পান করলে মৃত্যু ডেকে আনে সেই সিগারেটের তামাক চকরিয়কে ঢেকে ফেলেছে। সেই সিগারেটের চুল্লীর জন্য চকরিয়া এলাকার গাছ কেটে পাহাড় উজাড় করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকার যেখানে ইটের ভাটায় লাকড়ির বদলে বিকল্প জ্বালানির কথা বলছে সেক্ষেত্রে সিগারেটের চুলা চকরিয়ায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি পরিবেশের স্বার্থে তামাক চাষ বন্ধ করার দাবি জানান।
উপস্থাপিত প্রবন্ধে কোস্ট ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক মকবুল আহমেদ বলেন, বৃটিশ কাউন্সিলের সহায়তায় এবং কোস্ট ট্রাস্টের উদ্যোগে কক্সবাজার জেলায় ‘জলবায়ু অর্থায়ন ও বাস্তবায়নের স্বচ্ছতা অর্জন কৌশল’ নামে একটি প্রকল্প পরিচালিত হচ্ছে। এই প্রকল্পের উদ্যোগে টেকনাফ, কক্সবাজার সদর, চকরিয়া ও টেকনাফ উপজেলা নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি সমন্বয়ে চারটি জলবায়ু ফোরাম এবং জেলা জলবায়ু ফোরাম গঠন করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন