মাদারীপুরে পরকীয়ায় বাঁধা দেয়ায় সেলিনা আক্তার (৫০) নামে এক গৃহবধূকে স্বামী নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন-অর-রশীদ শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে সদর উপজেলার পৌর শহরের দক্ষিণ থানতলী এলাকায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতের স্বজন, এলাকাবাসীরা জানান, নৌ-বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদ দুই বছর ধরে পরকীয়ায় জড়িয়ে পরেন। এতে বিভিন্ন সময়ে বাঁধা দিতেন স্ত্রী সেলিনা আক্তার। ফলে প্রায়ই সেলিনার উপর নির্যাতন করতেন তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে এরই ধারাবাহিকতায় সেলিনাকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করেন স্বজনরা। পরে নিহতের লাশ সদর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় স্বামী হারুন-অর-রশীদ। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মাদারীপুর মর্গে প্রেরণ করেন। নিহত সেলিনা আক্তারের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ছেলে-মেয়ে বাড়িতে থাকেন না।
নিহত সেলিনার ভাই জুয়েল উকিল জানান, ‘আমার বোনের সাথে তার স্বামীর প্রায়ই ঝড়গা-বিবাদ হতো। তার স্বামী পরকীয়ার সাথে জড়িত ছিল। আমরা কয়েকবার পারিবারিকভাবে বসেও বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেছি। কিন্তু তার স্বামীর কোন পরিবর্তন হয়নি। এই কারণে আমার বোন তাকে বাঁধা দেয়ায় হত্যা করে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে। এটা হত্যা নয়, পুরোপুরি পরিকল্পিত হত্যা। আমরা এই নরপশুর বিচার চাই।’
এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক মজিবর রহমান জানান, ‘লাশটি একটি ছোট আমগাছের সাথে লটকানো ছিল। প্রাথমিক সুরতহাল দেখে এটাকে স্বাভামিক আত্মহত্যা মনে হয়নি।
যার কারণে লাশ উদ্ধার করে মাদারীপুর মর্গে পাঠিয়েছি ময়না তদন্তের জন্যে। যদি নিহতের পরিবার ময়না তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নিতে চায়, তাহলে মামলা নেয়া হবে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন