লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির দখল নিয়ে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে হাফতার বাহিনীর সংঘাতে বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানির ঘটনায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে নিন্দা জানানোর আহ্বান জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে লিবিয়াকে সন্ত্রাসীমুক্ত করতে অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন বাহিনী। এদিকে, দেশটির কারাগারে পাঁচ শতাধিক বিদেশি সেনা বন্দী থাকাকালীন নতুন করে যুদ্ধ শুরু হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী গুইসেপ্পে কোনতে। লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির রাজপথ এখন শুধুই রণক্ষেত্র। বাতাসে মিশেছে বারুদ আর রক্তের গন্ধ। দেশটির হাফতার বাহিনীর সঙ্গে জাতিসংঘ সমর্থিত লিবিয়ার সরকারি বাহিনীর চলমান যুদ্ধে ক্রমেই শহর ছেড়ে পালাতে শুরু করেছেন স্থানীয়রা। দিন দিন বাড়তে থাকা এ বাস্তুচ্যুতরা খাদ্য, বাসস্থানের মতো মৌলিক চাহিদার জন্য ত্রাণের ওপর নির্ভর করছেন। এতে চাপ বাড়ছে সরকারের ওপর। হাফতার বাহিনীর হামলায় বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানীর ঘটনায় নিন্দা জানাতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন লিবিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ সায়ালা। বুধবার নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্টকে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি যুদ্ধ বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার পাশাপাশি তা মেনে চলতে এবং হাফতার বাহিনীকে আগের অবস্থানে ফিরে যেতে চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানান। তবে যে কোন পরিস্থিতিতে লিবিয়াকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে হাফতার নেতৃত্বাধীন লিবিয়ান ন্যাশনাল ফোর্স। আমাদের যুদ্ধ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। ২০১১ সালে ন্যাটোসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক স¤প্রদায় লিবিয়ায় সন্ত্রাসী রেখে গেছে, তারাই আজ অরাজকতা সৃষ্টি করছে। এদের নির্মূলে লড়াই চালিয়ে যাবে আমাদের বাহিনী। এদিকে, পাঁচ শতাধিক বিদেশী যোদ্ধা লিবিয়ার কারাগারে বন্দী রয়েছে উল্লেখ করে ইতালির প্রধানমন্ত্রী গইসেপ্পে কনতে আবারও উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, যেকোন সময় এ লড়াই গৃহযুদ্ধে রূপ নিতে পারে। দেখা দিতে পারে চরম মানবিক সংকট। রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন