গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক ব্যক্তি তার সাবেক স্ত্রীকে ছুরি মেরে খুন করার পর স্থানীয়দের ধাওয়ার মুখে নিজের পেটে ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার হরতুকিতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে কালিয়াকৈর থানার ওসি আলমগীর হোসেন মজুমদার জানান।
নিহত ফাহিমা আক্তার (৩০) শেরপুর সদর থানার মাইকপাড়া গ্রামের ইনতাজ আলীর মেয়ে। আর তার সাবেক স্বামী মিকটুলা মিয়া (৩৫) একই থানার মালিনপার গোনাইমিয়া গ্রামের আশকর আলীর ছেলে।
প্রায় আড়াই বছর সংসার করার পর মাস পাঁচেক আগে ফাহিমা ও মিকটুলার বিচ্ছেদ হয়। তখন থেকে তারা আলাদা বসবাস শুরু করেন।
কালিয়াকৈর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হরতুকিতলা গ্রামের বাদশা মিয়ার বাসায় ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করে আসছিলেন ফাহিমা। শনিবার রাতে সেখানেই তিনি খুন হন।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, মিকটুলা মিয়া রাতে ওই বাসায় গিয়ে একটি চাকু দিয়ে ফাহিমাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এ সময় ফাহিমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে মিকটুলা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে।
স্থানীয়রা এ সময় মিকটুলাকে ধরার জন্য ধাওয়া দিলে তিনি হাতের চাকু নিজের পেটে ঢুকিয়ে দিয়ে পাশের একটি পুকুরে লাফিয়ে পড়েন বলে এলাকাবাসীর ভাষ্য।
তারা মিকটুলা ও ফাহিমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ওসি আলমগীর হোসেন মজুমদার।
ফাহিমার বাবা ইনতাজ আলী বলেন, পাঁচ মাস আগে গ্রামের বাড়িতে সালিশের মাধ্যমে তার মেয়ের সঙ্গে মিকটুলা মিয়ার বিচ্ছেদ হয়। এরপর আর তাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল না।
“আমার মেয়ে কালিয়াকৈরে এক বান্ধবীর সঙ্গে থাকত, গার্মেন্টে চাকরি করত। কী কারণে আমার মেয়েকে খুন করল আমরা বুঝতে পারছি না।”
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন