পবিত্র শবেবরাতের রাতেও ‘ওজোপাডিকো’ বরিশাল মহানগরীসহ দক্ষিণাঞ্চলবাসীকে স্বস্তি দিলো না। মহিমান্বিত এ রাতে সারা বিশ্বের মুসলমানদের সাথে দক্ষিণাঞ্চলের মুসলিমরাও মহান আল্লাহ রাব্বুল আল-আমীনের এবাদত বন্দেগীতে কাটাতে চাইলেও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় বিবেকহীন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ ছিল সব বর্ণনার বাইরে। কোন ধরনের ঘাটতি না থাকলেও শুধু বিতরণ ব্যবস্থার ত্রুটিতে দফায় দফায় বিদ্যুৎ সংকটে মসজিদ, বাসাবাড়িতে মুসুল্লীদের সীমাহীন বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
রোববার রাত ৮টায় এশা আজানের সাথেই বরিশাল মহানগরীর কাশীপুর ৩৩ কেভি সাব-স্টেশনের হাতেম আলী কলেজ ফিডারটি ট্রিপ করে একটি ৩৩/১১ কেভি ট্রান্সফর্মার-এর ইনকামিং লাইনই বন্ধ হয়ে যায়। ফলে একযোগে ৪টি ফিডারে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে নগরীর বিশাল এলাকা অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। মিনিট দশেকের মধ্যে ৩টি ফিডারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হলেও হাতেম আলী কলেজ ফিডারে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ঘন্টাখানেক সময় লাগে। রাত সাড়ে ৯টায় ও ১১টা ৫০-এর পুনরায় ঐ ফিডারটিতে দু’দফায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। সোমবার ফজরের ওয়াক্তের আগে একবার এবং সূর্যোদয়ের পরে আরো দু’বার ঐ ফিডারে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ট্রান্সফর্মার, বিতরন লাইনসহ নানা বৈদ্যুতিক স্থাপনায় ত্রুটিতে নগরীর হাতেম আলী কলেজ ফিডারটিতে গোলযোগ নিত্যকার ঘটনায় পরিনত হয়েছে। কিন্তু তা থেকে পরিত্রানের কোন উদ্যোগ নেই ওজোপাডিকো’র বরিশাল বিক্রয় ও বিতরন বিভাগ-১’এর প্রকৌশলীদের। রোববার রাতের গোলযোগের ঘটনা নিয়ে জানতে সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলী ও ম্যানেজার-এর দাপ্তরিক সেলফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে বিষয়টি নিয়ে বরিশাল সাকের্লের ডিজিএম ও তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি খোঁজখবর নিয়ে দ্রুত সমস্যা সমাধানের কথা জানান।
গত বছর দুয়েক যাবত সারা দেশের সাথে দক্ষিণাঞ্চলেও কোন বিদ্যুৎ সংকট না থাকলেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় শুধু বিতরন ব্যবস্থার ত্রুটিতে বরিশাল মহানগরীসহ এ অঞ্চলের মানুষ চরম বিড়ম্বনায়। এমনকি জরুরী চিকিৎসা পরিষেবা ও পানি সরবরাহ পর্যন্ত বিপর্যস্ত। চলতি এইচএসসি ও সদ্য সমাপ্ত এসএসসি পরিক্ষার্থীদের দূর্ভোগও সব বর্ণনার বাইরে
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন