শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

পুঁজিবাজারে টানা পতনে জড়িতদের খোঁজা হচ্ছে সাংবাদিকদের অর্থমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, পুঁজিবাজারে সূচকের হঠাৎ টানা উত্থান-পতনের পিছনে কেউ কেউ জড়িত রয়েছেন। ১৯৯৬ ও ২০১০ সালে এই ধরনের ঘটনা দেখেছি। যারা করছে তারা ব্যবসায়ী। সারা বিশ্বে এই ব্যবসায়ীদের জেলে পাঠানোর নজির খুব কম। অথচ আমরা সেটাও করেছি। কারসাজিকারকদের খুঁজছি, যাদের পাচ্ছি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। যারা এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদেরকে খুঁজা হচ্ছে। এমনকি এসব কারসাজিদের ধরতে শক্ত আইন তৈরি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকালে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, টানা তিন মাস ধরে দেশের শেয়ারবাজারে মন্দাভাব চলছে। এতে তালিকাভুক্ত প্রায় তিন শতাধিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ৩০ হাজার কোটি টাকার ওপরে হাওয়া হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে চরম লেনদেন খরা। বাজারে চলমান মন্দার পেছনে কেউ না কেউ জড়িত আছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। শেয়ারবাজারের এমন ভয়াবহ মন্দার কারণে গত দুই সপ্তাহ সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সামনে বিক্ষোভ করেছেন। ফলে দুই সপ্তাহ ধরে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টদের বেশ দৌড়ঝাঁপ দেখা যায়। দফায় দফায় বৈঠক করেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা।
তবে অর্থমন্ত্রী দেশের বাইরে থাকায় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারেননি। যে কারণে শবে বরাতের বন্ধ থাকা সত্তে¡ও দেশে ফিরেই গতকাল বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠক নিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একধরনের আগ্রহ সৃষ্টি হয়।
বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা ওই রকম কোনো এজেন্ডা নিয়ে বৈঠক করিনি। সামনে জাতীয় বাজেট। শেয়ারবাজারে দিকে আমাদের খেয়াল রয়েছে। অর্থনীতির সঙ্গে শেয়ারবাজারের একটা সম্পর্ক রয়েছে। সুতরাং শেয়ারবাজার ভালো হওয়া দরকার।
এ সময় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়, বন্ধের দিনে বৈঠক করার কারণ কী? এর উত্তরে তিনি বলেন, আপনারাই তো পত্রিকায় লিখছেন, মার্কেট নাই হয়ে গেছে। কোথায় দেখলেন মার্কেট ফল (পতন) করছে? সূচক পাঁচ হাজার ৯০০ হয়ে গিয়েছিল। এখন পাঁচ হাজার তিনশ আছে।
তিনি বলেন, শেয়ারবাজার অর্থনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। অর্থনীতি ভালো হলে শেয়ারবাজার ভালো হবে। শেয়ারবাজারে এমন ওঠা-নামা হতেই পারে। বাজারে এখন আমি খারাপ কিছু দেখি না। পাঁচ হাজার ৯০০ থেকে পাঁচ হাজার ৩০০ হয়েছে, এতে কী এমন হয়ে গেছে। সব জায়গায় শেয়ারবাজারে ওঠা-নামা আছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ভয় দেখালে হবে না। আমাদের শেয়ারবাজার অন্য জায়গার থেকে ভিন্ন। বাইরে থেকে যারা শেয়ারবাজারে আসেন তারা বোঝেন এবং পড়ালেখা করে আসেন। কিন্তু দুঃখ্জনকভাবে আমাদের এখানে শেয়ারবাজার বোঝেন এমন বিনিয়োগকারীর সংখ্যা খুবই কম। সবাই যদি বুঝতো তাহলে বাজার নিয়ে আমাদের এতো শক্তিশালী কমিশন দরকার ছিল না। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে অনেক আইন-কানুন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে আমরা কাউকে জোর করে আনতে পারি না। এখানে যার খুশি সে আসবে। যার ইচ্ছা হবে না, সে আসবে না। তবে সামনে বাজেট, আমরা চাই শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীরা আসুক। ধীরে ধীরে দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগের দিকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছি।
শেয়ারবাজার বর্তমানে ভালো অবস্থানে আছে- এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ভালো কোম্পানিগুলো এখানে আসবে না। আসলে খারাপ কোম্পানির সঙ্গে মিশে গিয়ে তারাও খারাপ হয়ে যাবে। তবে আমি মনে করি, এ মুহূর্তে বাজার পরিস্থিতি খারাপ নয়। এখন মূল্য আয় অনুপাত (পিই) বেশ কম; ১৫ থেকে ২০ এর মধ্যে আছে। একসময় মূল্য আয় অনুপাত ৯০ হয়ে গিয়েছিল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Shafiqul Islam Kader ২৩ এপ্রিল, ২০১৯, ১১:০৭ এএম says : 0
অভিনন্দন
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন