শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন শ্রীলংকার মুসলমানরা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ এপ্রিল, ২০১৯, ১০:৩৪ এএম

শ্রীলংকায় গির্জা ও হোটেলে রোববারের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে ন্যাশনাল তৌহিদ জামাত (এনটিজে) নামে একটি জঙ্গিগোষ্ঠীর নাম আসার পর দেশটির মুসলিমরা চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।

অনেকেই তাদের ভাবমূর্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। হামলার পরই এর তীব্র নিন্দা ও শোক প্রকাশ করেছেন শ্রীলংকার অল সিলন জামিয়াতুল ওলামা (এসিজেইউ) প্রধান রিজভী মুফতি। খবর বিবিসির।

ভয়াবহ ওই হামলার পর রোববার তিনি শ্রীলংকার আর্চ বিশপ ম্যালকম কার্ডিনাল রঞ্জিতের সঙ্গে দেখা করে এ সমবেদনা জানান।

এ সময় কয়েকজন মুসলিম মন্ত্রী ও এমপি তার সঙ্গে ছিলেন। রিজভী মুফতি বলেন, আমাদের খ্রিস্টান ভাইবোনদের ওপর নৃশংস ও ন্যক্কারজনক এ হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

গত পাঁচ বছর ধরে ব্যবসার সূত্রে কলম্বোতে থাকেন বাংলাদেশের নাগরিক খালেকুজ্জামান সোহেল। সোমবার দুপুরে শহরের ওয়াল্লাওয়া এলাকায় একটি মসজিদে জোহরের নামাজ পড়তে গিয়ে তিনি দেখতে পান ২০-২৫ জন সশস্ত্র পুলিশ মসজিদটি পাহারা দিচ্ছে।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ভেতরে মুসল্লিদের সঙ্গে কথা বলে মনে হলো তারা যতটা না আতঙ্কগ্রস্ত তার চেয়ে বেশি লজ্জিত ও দুঃখিত।

তারা যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না যে, তাদের সম্প্রদায়ের কেউ দেশের ভেতরে এ ধরনের হামলা করতে পারে।

কলম্বোতে মুসলিম সংগঠন ন্যাশনাল শূরা কাউন্সিলের এক কর্মকর্তা আজমান আবদুল্লাহ বলেন, আতঙ্কের চেয়ে মুসলিমরা 'ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত'।

আতঙ্ক যে একবারেই নেই তা বলব না, নানা ধরনের গুজব শোনা যাচ্ছে। তবে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, আমাদের খ্রিস্টান ভাইয়েরা বুঝতে পারছেন যে শ্রীলংকার মুসলিমরা কোনোভাবেই তাদের ক্ষতি চায় না।

শীর্ষস্থানীয় মুসলিম নেতারা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মসজিদে মসজিদে ব্যানার ঝোলানো হয়েছে।

শুধু মুসলমান হিসেবে নয়, শ্রীলংকার নাগরিক হিসেবে তারা আজ উদ্বিগ্ন দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে।

শ্রীলংকায় বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সম্পর্কের ইতিহাস এমনিতেই খুব ভালো নয়। গত বছর ক্যান্ডি ও আশপাশের বেশ কিছু শহরে মসজিদ এবং মুসলিম ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কট্টর বৌদ্ধদের হামলার পর সাময়িক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল।

ফলে রোববারের হামলার সঙ্গে মুসলিম একটি সংগঠনের সংশ্লিষ্টতা সন্দেহের কথা প্রকাশ হওয়ার পর স্বভাবতই অনেক মুসলিম উৎকণ্ঠায় পড়েছেন।

দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর গলের সাংবাদিক ফারহান নিজামউদ্দিন বলেন, মুসলিমরা ক্ষুব্ধ এবং তারা হামলাকারীদের 'সর্বোচ্চ সাজা'র দাবি করছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শত শত মুসলিম লিখছেন- এই সন্ত্রাসের সঙ্গে ইসলামের শিক্ষার কোনো সম্পর্ক নেই।

সোশ্যাল মিডিয়ায় গলের একজন মুসলিম লিখেছেন- আমার জন্ম মুসলিম পরিবারে, কিন্তু আমি পড়াশোনা করেছি খ্রিস্টান মিশনারি স্কুলে। ফলে ক্রুশবিদ্ধ যিশুর মূর্তি আমার হৃদয়ের খুব কাছের।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
মুজাহিদ ২৩ এপ্রিল, ২০১৯, ১:৫১ পিএম says : 0
ও রে ভাই হামলা যেখানে হয়ুক দশি মুসলমান ।
Total Reply(0)
ash ২৩ এপ্রিল, ২০১৯, ৩:০৯ পিএম says : 0
AI HAMLAR PISE MODI, NETINIHAHU, R TAMIL TIGER JORITO, ETE KONO SHONDEHO NAI !!
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন