শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

তুরস্ক নিষেধাজ্ঞা মানবে না

ইরানের তেল ক্রয়ে মার্কিন সিদ্ধান্তে চীনের বিরোধিতা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

ইরানের তেল ক্রয়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মধ্যপ্রাচ্য ও আন্তর্জাতিক জ্বালানির বাজারে চরম অস্থিতিশীলতা তৈরি করবে বলে হুঁশিয়ারি করেছে চীন। মঙ্গলবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গ্যাং সুয়াং বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের জোরালো বিরোধিতা করছে চীন। এদিকে ইরান থেকে তেল আমদানিতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মানবে না তুরস্ক। নিষেধাজ্ঞা থেকে রেহাই পেতে তেহরানের তেল ক্রেতাদের দেয়া ছাড় বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণার পরই সোমবার এমন প্রতিক্রিয়া জানান তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসগলু। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলুকে তিনি বলেন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে আমরা কীভাবে সম্পর্ক স্থাপন করব, সে বিষয়ে একতরফা নিষেধাজ্ঞা ও অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ আমরা সহ্য করব না। মার্কিন হস্তক্ষেপে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি নষ্ট হতে পারে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন মেভলুত কাভুসগলু। যুক্তরাষ্ট্র সোমবার বলেছে, ভারতের মতো বন্ধুরাষ্ট্রও যদি ইরান থেকে তেল আমদানি করে, নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে। ইরানের প্রতি এই আগ্রাসী মনোভাবে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মার্কিন সম্পর্ক ঝুঁকিতে পড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে তুরস্ক মার্কিন দাবি অগ্রাহ্য করবে বলে জোর দিয়ে জানিয়েছে। এই কঠিন মার্কিন পদক্ষেপের কারণে বিশ্বে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যদিও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, বাজারে ইরানি তেল কমে গেলে সউদী আরব সেই ঘাটতি পূরণ করবে। ইরানের তেল রফতানি কমিয়ে শূন্যে নামিয়ে আনার চেষ্টার অংশ হিসেবে ট্রাম্প প্রশাসন তেহরানের রাজস্ব আয়ের শীর্ষ মাধ্যমটিকে লক্ষ্য বানিয়েছে। কাজেই মধ্যপ্রাচ্যে দেশটির প্রভাব কমিয়ে আনতে ও অর্থনীতিকে ধ্বংস করতে এ পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের ঘোষণায় বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অস্থিতিশীল তৎপরতার অবসানে ইরানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক চাপ বাড়াতে ট্রাম্প প্রশাসন ও তার মিত্ররা অনড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত বছর ইরানের ওপর একতরফা নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর প্রাথমিকভাবে আট দেশকে ছয় মাসের জন্য তেল কেনায় ছাড় দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ইরানি তেলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্রেতাদের একটি হচ্ছে ভারত। এএফপি, আনাদোলু।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
Zakir Hossain ২৪ এপ্রিল, ২০১৯, ১:৪০ এএম says : 0
আমেরিকার দিন শেষ। এখন যুগ রাশিয়া আর চীন এর কথা মত চলে।
Total Reply(0)
A Matin ২৪ এপ্রিল, ২০১৯, ১:৪১ এএম says : 0
Thank you Turask
Total Reply(0)
Shapon Miah ২৪ এপ্রিল, ২০১৯, ১:৪১ এএম says : 0
Very good decision.tramp is a busterd
Total Reply(0)
Helal Uddin ২৪ এপ্রিল, ২০১৯, ১:৪১ এএম says : 0
বিশ্বে সকল অপকমের মূল হোতা হল আমেরিকা ও ইসরাঈল
Total Reply(0)
Nuhad Ahmed ২৪ এপ্রিল, ২০১৯, ১:৪১ এএম says : 0
Who is U.S why should follow, boucout U.S, every country should do it
Total Reply(0)
ss miah ২৪ এপ্রিল, ২০১৯, ১০:৩২ পিএম says : 0
বিশ্বে, সকল অপকমে'র মূল হোতা হল আমেরিকা ও ইসরাঈল এবং আই এস এস ,এদের বিচার করার কি কেউ নাই ?কি সোন্দর বলে, যে কোনো ঘটনা ঘটে, আই এস এস শিকার করেছে ?বিচার শেষ হায়রে দুনিয়া এই বিচার কে করবে ? আল্লাহ যদি করে,মানুষের নাগালের বাইরে..........মুসলিম জাতি, কেন মিলে,মিশে চলতে পারে না ?সব জাতি একটা হইয়া চলে,মুসলিম পারেনা কেন ?
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন