পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে সম্প্রতি লালমাটিয়াস্থ আদর্শ ইসলামী মিশন মহিলা কামিল এম.এ মাদরাসা ও জৈনপুরী দরবার শরীফে এবং মোহাম্মদপুর ইত্যাদি এন্টারপ্রাইজ প্রাঙ্গনে ওয়াজ ও তাফসীর মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
উভয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তাফসীর, দোয়া ও বাইয়াত পরিচালনা করেন পীরে কামিল আল্লামা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান জৈনপুরী পীর সাহেব। ডা. মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে ইত্যাদি এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. মেহেদীর সার্বিক পরিচালনায় এবং খন্দকার আলী আখতারের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত মাহফিলে ওয়াজ করেন প্রফেসর মাওলানা সোহরাব হোসেন, মাওলানা ডা. আবদুছ ছবুর কামাল ও মাওলানা তোজাম্মেল হক প্রমুখ। বিশেষ অতিথি ছিলেন শেখ জহির আহমেদ, খোরশেদ আলম চৌধুরী প্রমুখ। তাফসীর কালে পীর সাহেব শবে বরাতের ফজিলত, গুরুত্ব ও বৈশিষ্ট প্রসঙ্গে বলেন, শবে বরাত অর্থাৎ মুক্তির রাত, নাজাতের রাত, বরাদ্দের রাত, গুনাহ মাফের ও রহমাতের রাত ইত্যাদি। পবিত্র কুরআন, হাদিস ও তাফসীর দ্বারায় শবে বরাতের ফজিলত ও সঠিকতা প্রমান। যেমন সুরায় দুখানের ১ম থেকে ৩য় আয়াতে বর্নিত আছে ‘সুস্পষ্ট সত্য প্রকাশ করে দেয় যে গ্রন্থ তার শপথ। নিশ্চয় এক বরকতময় রাতে আমি এ গ্রন্থ নাজিল করেছি। আর এভাবেই আমি মানুষকে শতর্ক করে আসছি’। এই আয়াতের তাফসিরে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (র.) এর ছাত্র হযরত ইকরিমা (র.) থেকে বর্নিত আছে লাইলাতিম মুবারাকাতিন’ অর্থাৎ বরকতময় রজনীহলো শাবান মাসের ১৫ তারিখের রাত। তাফসীরে বাগাবীর ৭ম খন্ড তাফসীরে জালালাইনে আল্লামা সিউতী (র.) থেকে বর্নিত আছে নিছফে সাবান অর্থাৎ মধ্য শাবানের রাত্রে লাউহে মাহফুজ থেকে পূর্ণ কুরআন প্রথম আসমানে নাজিল হয় এবং লাইলাতুল কদরের রাত্রে প্রথম আসমান থেকে সুরায় ইকরার মাধ্যমে প্রিয় রাসুল (সা.) এর নিকট ২৩ বৎসর ধরে ৩০পারা কুরআন নাজিল হয়। সুরা দুখানের ৪ নম্বর আয়াতে রয়েছে ‘ওই বরকতময় রাত্রে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়’। শবে বরাত হলো বরাদ্দের রাত্রি এবং শবে কদর হলো বন্টনের রাত্রি। বরাতের রাত্রে দোয়া কবুল (বাজেট পাস)না হলে শবে কদরের রাতে সে মাগফেরাত, রেজেক, রোগমুক্তি, হায়াত মওত ইত্যাদি কোন কিছুর অংশিদার হবেনা। এই রাতে মুশরিক এবং হিংসুকের পাপ ক্ষমা হয়না হাদিছে বায়হাকি। অতএব সকল মুসলিম নর-নারীকে শবে বরাতে এবাদত বন্দেগিতে মগ্ন হওয়ার জন্য জৈপুরী পীর সাহেব আহŸান জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন