শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ইসরাইলি আক্রমণে ৭৫ ভাগ মসজিদ ধ্বংস!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ এপ্রিল, ২০১৯, ৯:৩২ এএম

সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে একটি খবর ভেসে বেড়াচ্ছে যে, ফিলিস্তিনে অবস্থিত হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম মসজিদটি বন্ধ করে দিয়েছে ইসরাইল। কিন্তু তার চেয়ে মারাত্মক ও দুর্ভাগ্যজনক সত্য হলো ফিলিস্তিনের গাজা’র প্রায় ৭৫ ভাগ মসজিদই ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরাইল। খবর মিডল ইস্ট মিরর।

সংবাদ মাধ্যমটির তথ্য মতে জানা যায় যে, গত ৫১ দিনে ৭৩টি মসজিদ ধ্বংসের পাশাপাশি ২০৫টি মসজিদ আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে ইসরাইল।

পিইসিডিসি (ফিলিস্তিন ইকোনোমিক কাউন্সিল ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কন্সট্রাকশন) কর্তৃক গঠিত কমিটির তথ্য মতে ফিলিস্তিনের গাজায় ধ্বংসপ্রাপ্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদ, স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ও দাতব্য কার্যালয়সহ প্রায় ৪০.৪ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইসরাইলি হামলায় শুধু মসজিদই ধ্বংস হয়নি, দুটি গির্জাসহ ১০টি সমাধিস্থল সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।

পিইসিডিসি কমিটির তথ্য মতে শুধু গাজাতেই ইসরাইলি আক্রমণে ৭৫ ভাগ মসজিদ ধ্বংস হয়েছে।

এসব ধ্বংস প্রাপ্ত মসজিদের মধ্যে ফিলিস্তিনের বিখ্যাত মসজিদ আল-ওমরিও ধ্বংস করা হয়েছে। ২০০৮ ও ২০০৯ সালে দুই দফা আক্রমণে মসজিদটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। আর ২০১৯ সালে সেটি পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়া হয়।

হজরত আমর ইবনুল আসের সময়কার একটি প্রাচীন মসজিদ; যেটি ১৩৬৫ বছর আগে নির্মিত হয়েছিল। সে মসজিদটিও ধ্বংস করা হয়েছে। যার নাম ছিল মসজিদ মানারাত আল-জাহের।

মসজিদটি ৩ হাজার বর্গমিটার বিস্তৃত ছিল আর এতে এক সঙ্গে প্রায় ২০০০ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারতো।

উল্লেখ্য যে, ২০১৯ সালে ইসরাইলি আক্রমণ ছিল অনেক বেশি। যা ২০০৮ ও ২০০৯ সালের চেয়ে প্রায় ৩ গুণ বেশি।

ইসরাইলি আক্রমণে ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদগুলো পুনঃর্নিমাণে সহায়তাকারী বিভিন্ন মুসলিম দেশ ও মানুষের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের মসজদি কর্তৃপক্ষ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Ivan Hussain ২৪ এপ্রিল, ২০১৯, ১১:২৯ এএম says : 0
সত্য হচ্ছে আমাদের কিছুই করার নেই, শুধু দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া। পৃথিবীতে যত যুদ্ধ চলছে সব যুদ্ধেই মুসলিমরা মুলিমদেরকে মারছে। আরো যেসব যুদ্ধ প্রস্তুতির কথা শোনা যাচ্ছে সেখানেও মুসলিমরা মুসলিমদের বিরুদ্ধে। সবচেয়ে ভয়ের কথা হলো বর্তমান বিশ্বে মুসলিমদের বন্ধু-ই হলো যারা মুসলিমদের প্রকাশ্য শত্রুতা করে বেড়ায়। সৌদি যুবরাজ সালমান যুদ্ধের দামামা বাজাচ্ছে শিয়া ইরানের বিরুদ্ধে, ইরানীরা শিয়া হলেও তারা এক আল্লাহ্‌ এবং রাসূল (সাঃ)-এর উপর বিশ্বাস করে; এবং ইরান মুসলিম বিশ্বের জন্য ইসলামের চর্চার জন্য রোল মডেল। অথচ মুরতাদ রেজা শাহ্‌ ছিল সৌদ-দের বন্ধু। আংকল স্যামরা মুসলিমদের সবচেয়ে বড় শত্রু কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোর বন্ধুই হচ্ছে আংকল স্যাম আর তাঁর দোসররা। বাহিরার কথা কি বলব বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান হলেও এদেশের বন্ধু হচ্ছে এমন রাষ্ট্র যেখানে মাইকে ঘোষনা দিয়ে মুসলিমদেরকে হত্যা করা হয়। তাই ২০০ কোটি (প্রায়) জনসংখ্যার নাম মাত্র মুসলিম আছে কিন্তু সত্যকারের ইসলামকে ধারণ করে এরকম মুসলিম আছে কয়জন? বোধ হয় ১ কোটিও না। যার কারণে মুসলিমদের এত দূর্দশা।
Total Reply(0)
ম নাছিরউদ্দীন শাহ ২৪ এপ্রিল, ২০১৯, ৩:৪৩ পিএম says : 0
পৃথিবীর শেষ প্রান্তে আমারা ঈমান মেহেদী{আঃ}আগমন হয়তো আর বেশী দেরী নেই। আল্লাহর ঘর মসজিদ ধ্বংস করছে একের পর এক। আমারা মুসলমানদের ঈমান আক্বিদায় লাগছে না। মুসলমানদের দুনিয়ায় ভালো বাসায় আখেরাতের কথা ভুলে গেছি। এখন ঈমানদার ব্যক্তির ঈমান বাচানো বড় কষ্টের। চারিদিকে বেপদ্দা উলঙ্গনারী। কেও ধর্মের আদেশ নিষেধ মানছেনা। রাষ্ট্রের দায়িত্ব কর্তব্য আদেশ নিষেধ কেও মানছেন না। প্রতিদিন হত্যা ধর্ষণ চুরি ডাকাতি শত শত মানুষকে হত্যা। জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া। আমারা আখেরাতের কথা ভুলে গেছি। এ সব কিসের আলামত। গুনাহের সাগরে আমারা ডুবে গেছি। এই ভয়াবহ অবস্থায় সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলিম ঈমান হারানোর পথে। রাহমানির রাহির আপনার ঘর মসজিদের রক্ষা করতে পারছিনা। আমাদের ঈমানী শক্তি দাও। ঈমাম মেহেদী{আঃ} কাফেলার ঈমানদার সদস্য বানাও। প্রিয় নবী{সাঃ} অনুসৃত সুন্নত পালন কারী বানাও। আমিন।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন