‘জিপি অ্যাকসেলেরেটর ২.০’ প্রোগ্রামের জন্য দেশব্যাপী আবেদন গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে গ্রামীণফোন। বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। অন্যান্যদের মধ্যে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী মাইকেল ফোলি, ডেপুটি সিইও ও সিএমও ইয়াসির আজমান, হেড অব ডিজিটাল সোলায়মান আলম, কমিউনিকেশনসের ডিরেক্টর তালাত কামাল এবং প্রতিষ্ঠানটির হেড অব স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম মিনহাজ আনওয়ার ।
চলতি বছর ‘জিপি অ্যাকসেলেরেটর ২.০’ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী প্রযুক্তি বিষয়ক উদ্ভাবক ও স্টার্টআপদের কাছে পৌঁছানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে গ্রামীণফোন পাশাপাশি, এ পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রযুক্তি বিষয়ক উদ্ভাবক ও স্টার্টআপদের ধারণাকে প্রি-অ্যাকসেলেরেটরের মাধ্যমে মিনিমাম ভায়াবল প্রডাক্টে রূপান্তর সহায়তা করাও প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য। প্রযুক্তি বিষয়ক উদ্ভাবক ও স্টার্টআপরা https://www.grameenphone.com/gp-accelerator-2.0- এ গিয়ে অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারবেন। প্রি-অ্যাকসেলেরেটর ধাপে ২৫টি নির্বাচিত স্টার্টআপকে পণ্য গবেষণা, পণ্যের ডিজাইন বা নকশা, বৈধতা এবং প্রাতিষ্ঠানিক তথ্য সংক্রান্ত কর্মকা-ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। আগামী ১৫ মে পর্যন্ত প্রি-অ্যাকসেলেরেটর রাউন্ডের জন্য আবেদনের সুযোগ রয়েছে।
এছাড়াও, আরো দক্ষ স্টার্টআপগুলো আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত সরাসরি অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবে, যেখানে তারা প্রায় সাড়ে ৪ মাস দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবে। জিপিএ২.০ হচ্ছে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে বিনিয়োগকারী এবং ইকোসিস্টেমের গুরুত্বপূর্ণ স্টার্টআপগুলো এক হয়ে উদ্ভাবনী ধারণার বিচার-বিশ্লেষণ করে সেগুলো যথাযথভাবে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে কাজ করে। বিশ্বখ্যাত পরামর্শকদের কাছ থেকে নির্বাচিত স্টার্টআপগুলো বাণিজ্যিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে, ব্যবসায়িক পরিমাপকরণে এবং প্রবৃদ্ধি সংক্রান্ত সহায়তা পাওয়ার পাশাপাশি জিপি হাউজে কার্যালয়, জিপি ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলে অন্তর্ভুক্তি এবং দেশী ও বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে ধারণা উপস্থানের সুযোগ পাবে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রবৃদ্ধির লক্ষে সম্ভাব্য ব্যবসার সুযোগ তৈরির মাধ্যমে বর্তমান সরকার সহায়তার দিক থেকে শতভাগ প্রতিশ্রতিবদ্ধ, যা সার্বিকভাবে জাতীয় অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে। এক্ষেত্রে, স্টার্টআপগুলোর সহায়তায় জিপি অ্যাকসেলেরেটর প্ল্যাটফর্ম একটি অন্যন্য উদাহরণ। সকল অংশগ্রহণকারীদের প্রতি রইলো আমার শুভ কামনা।
গ্রামীণফোনের প্রধান মাইকেল ফোলি বলেন, ‘বাংলাদেশে ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরির লক্ষে দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণফোন সরকারের সাথে সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের অগ্রগতিতে তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে এটি কার্যকরী একটি প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করি আমরা, আর এই যাত্রায় সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে যুক্ত হতে পেরে গ্রামীণফোন আনন্দিত। বর্তমানে আমাদের দেশে দ্রুতগতিতে নতুন ব্যবসা ও ব্যবসায়িক ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। আর তাই আমাদের যেমন তরুণ প্রজন্মকে দরকার ঠিক তেমনি তাদের কাছেও আমাদের প্রয়োজনীয়তা ব্যাপক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন