বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

কন্ডিশন চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত তামিম

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

রানের হিসেবে বাংলাদেশে তিনিই নাম্বার ওয়ান। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে সংখ্যাটি ১২ হাজার ৪০০। ওয়ানডেতে ৬ হাজার ৪৬০ রান। ২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে অভিষিক্ত এই ওপেনারের নামের পাশে ১১টি সেঞ্চুরি। তিন-তিনটি বিশ্বকাপ ইতোমধ্যেই খেলেছেন। কদিন পরে চতুর্থটিও খেলবেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য ওয়ানডে বিশ্বকাপে আজও একটি সেঞ্চুরির দেখা পাননি তামিম।

২০০৭ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে তামিমের শুরুটা হয়েছিল আলোয় রাঙানো। সদ্য কৈশোর পেরুনো তামিম সেবার নেমেই ভারতের বিপক্ষে করেছিলেন ৫১ রান। ডাউন দ্য উইকেটে এসে জহির খানকে মারা তার ছক্কা ট্রেডমার্ক হয়ে আছে ওই ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের। এরপর তিন বিশ্বকাপ মিলিয়ে আরও কুড়িটি ম্যাচ খেলেছেন। ফিফটি করেছেন কেবল তিনটি, পাননি সেঞ্চুরির দেখা। বিশ্বকাপে তামিম তার মানের ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেননি কখনই। আরেকটি বিশ্বকাপের আগে যখন তেতো পরিসংখ্যান আসছে সামনে, তখন নিজের উপর চাপ না আনতে কোন লক্ষ্য ঠিক না করার তরিকা নিয়েছেন তিনি।

এবার নিউজিল্যান্ড সফর থেকে ফিরে লম্বা ছুটিতে চলে যান তামিম। শারীরিকভাবে নিজেকে সতেজ রাখতে খেলেননি ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে। যে পরিকল্পনা থেকে প্রিমিয়ার লিগ খেলেননি তা ঠিকঠাক করতে পেরে তৃপ্তি নিয়ে শুরু করেছেন বিশ্বকাপ নিয়ে অনুশীলন। শরীরের ওজন কমিয়েছেন, ফিটনেসে উন্নতি করেছেন, এবার আরও ক্ষুরধার করছেন ব্যাট।

২০০৭, ২০১১ আর ২০১৫ সালে তিন বিশ্বকাপে তামিম মোট ম্যাচ খেলেছেন ২১টি। ২৩.০০ গড়ে করেছেন ৪৮৩ রান। তিন ফিফটি আর সর্বোচ্চ ৯৫। তামিমের পুরো ক্যারিয়ার গড়, রানের দিকে তাকালে বেশ বেমানান। এবার এই পরিসংখ্যানগুলো নিশ্চিতভাবেই বদলাতে চাইবেন। কিন্তু অমুক করতে চাই, তমুক করতে চাই বলে চাপও নিতে চাইছেন না তিনি। নিজের ভাবনার জগতকে ভারমুক্ত রাখতে হাঁটছেন সতর্ক কৌশলে, ‘কোন লক্ষ্য না, কোন কিছু না। কারণ আমার কাছে মনে হয় যে আমি যখনই কোন কিছু নিয়ে বেশি ভাবি, কোন না কোনভাবে সেটা অর্জন করতে পারি না। কাজেই আমি এটা নিয়ে খুব বেশি ভাবছি না। বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি নাই, এই নাই, সেই নাই - আমি সবই জানি। এখন এটা তো আমি বদল করতে পারবো না।’

বর্তমান দলে তামিমের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওপেন করতে নেমে ইনিংস টেনে নেওয়ার কাজটা করতে হয় তাকেই। নিজের ব্যক্তিগত লক্ষ্য নিয়ে না ভেবে ওই ভূমিকা নিয়েই মাথা ঘামাতে চান সব সংস্করণেই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক, ‘এই বিশ্বকাপে যদি আমি এটাই লক্ষ্য করে যাই যে একটা সেঞ্চুরি করতে হবে বা খুব রান করতে হবে, তাহলে আমি আসলে অপ্রয়োজনীয় চাপ নিবো আমার উপরে। আমি এটা চাই না। আমার বরং ভাবনার অন্য জায়গায়। সেটা হচ্ছে, দল আমাকে যে ভূমিকা দিবে, সেই ভূমিকাটা যদি আমি পালন করতে পারি, ওই ভূমিকাটা যদি আমি ভালোভাবে পালন করি, তাহলেই সুযোগ আসবে বড় ইনিংস খেলার। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, দলকে একটা ভালো শুরু এনে দেয়া।’
বিশ্বকাপের সময় ইংল্যান্ডেও থাকবে গ্রীষ্মকাল। তবে সেখানে এই ঋতুতেও থাকে খানিকটা ঠাণ্ডা। আর আবহাওয়া বদলে যায় যখন-তখন। যদি বৃষ্টি হয়, বাতাস থাকে ভেজা, তাহলে ঠাণ্ডার তীব্রতা বেড়ে যায় বেশ। বিশ্বকাপে সেই কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া হবে গুরুত্বপূর্ণ। তামিম জানালেন, কন্ডিশনের চ্যালেঞ্জ নিতে তারা প্রস্তুত, ‘পুরোই ভিন্ন আবহাওয়া হবে সম্ভবত (ইংল্যান্ডে)। তবে আমরা এখানে যে কঠোর পরিশ্রম করছি, এই গরমে রানিং করা, ব্যাটিং-ফিল্ডিং, জিম করা, এসব কিন্তু খুব চ্যালেঞ্জিং। এই যে আমরা এখানে কষ্ট করে নিচ্ছি, ওখানকার আবহাওয়ায় যাওয়ার পর আমার মনে হয়, অন্তত শারীরিক ফিটনেসের দিক থেকে এটা সাহায্য করবে। এজন্যই আমার মনে হয়, এখনই সময় অনুশীলনে নিজেকে উজার করে দেওয়ার। সবাই চেষ্টা করছে তাদের মতো করে। আরও কয়েকটা দিন আছে অনুশীলনের।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন