বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের কাছে ধারাবাহিকভাবেই গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব (পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি) সাইমন ম্যাকডোনাল্ড। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের চলমান সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। গতকাল রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে ‘যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে প্রস্থানের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক’ শীর্ষক এক সেমিনারে অতিথি বক্তা হিসেবে এসব কথা বলেন সাইমন ম্যাকডোনাল্ড। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন মেজর জেনারেল এ কে আবদুর রহমান।
সাইমন ম্যাকডোনাল্ড বলেন, অর্থনৈতিকভাবেই বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের আগ্রহের কারণ। তাছাড়া বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। বিশ্বের এ অঞ্চলের সঙ্গে আমাদের বেশ আগে থেকেই যোগাযোগ রয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের একটি বিশাল জনগোষ্ঠী যুক্তরাজ্যে বসবাস করছে। ফলে বাংলাদেশ সম্পর্কে আমাদের ভালো বোঝাপড়া রয়েছে।
সেমিনারের শুরুতে মেজর জেনারেল এ কে আবদুর রহমান বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিদ্যমান সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের অন্যতম বড় উন্নয়ন অংশীদার ও বিনিয়োগকারী।
এর আগে গতকাল সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে তৃতীয় কৌশলগত সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপে সাইমন ম্যাকডোনাল্ডের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল যোগ দেয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শহিদুল হক।
তৃতীয় কৌশলগত সংলাপ বিষয়ে সাইমন ম্যাকডোনাল্ড বলেন, সংলাপে যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছে, তার ৫০ শতাংশ বাস্তবায়ন হলেই আমরা বলতে পারব বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য কৌশলগত অংশীদার।
সংলাপে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের কূটনৈতিক সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শিক্ষা ও দক্ষতা, সুশাসন ও মানবাধিকার, ভবিষ্যৎ উন্নয়ন অংশীদারিত্ব, অভিবাসন ও নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। আলোচনা হয় রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের বিষয়েও।
পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শহিদুল হক এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এটি অত্যন্ত গঠনমূলক আলোচনা ছিল। আমরা দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় নানা বিষয়ে আলোচনা করেছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন