শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

জালিয়াপাড়া-মহালছড়ি সড়ক : হাজারো মানুষের দুর্ভোগ নিত্যসঙ্গী

প্রকাশের সময় : ১৮ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

দিদারুল আলম রাজু, খাগড়াছড়ি থেকে : সংস্কারের অভাবে দীর্ঘ এক যুগ ধরেই খাগড়াছড়ি জেলার জালিয়াপাড়া-মহালছড়ি সড়কে যাত্রীবাহী যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ২২ কিলোমিটার সড়কের পুরো অংশই। সড়কের সিলকোড এবং ইট-পাথর উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য ছোট বড় গর্তের। এছাড়া পাহাড়ি সড়কের কিছু কিছু অংশে মাটি ধ্বসে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তবে যাত্রীবাহী যান চলাচল না করায় প্রাত্যহিক প্রয়োজন মেটাতে ঝুঁকি নিয়েই কয়েকগুণ বাড়তি খরচ গুনে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলযোগে সড়কটিতে চলাচল করছে স্থানীয়রা। আর অচল এই যাতায়াত ব্যবস্থার ফলে ভোগান্তির অন্ত নেই জেলার গুইমারা, মহালছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার প্রায় ৪০ হাজার মানুষের। একদিকে যেমন দুর্ভোগের শেষ নেই, অন্যদিকে থমকে আছে এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নও। স্থানীয় কৃষক, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী ও রোগীদের প্রতিনিয়তই পোহাতে হচ্ছে নানান বিড়ম্বনা। গুইমারা কলেজের শিক্ষার্থী হিমেল চাকমা, সিন্দুকছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কুমিতা ত্রিপুরা ও সবেন চাঁন ত্রিপুরা জানান, সড়কটিতে যাত্রীবাহী যান চলাচল না করায় কয়েক কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটেই বিদ্যাপীঠে যেতে হয় তাদের। সিন্দুকছড়ি এলাকার কৃষক মিলন চাকমা বলেন, ‘মোটরসাইকেলে করেই কৃষিপণ্য পরিবহন করতে হয়। ফলে স্বাভাবিকের তুলনায় মোটরসাইকেল চালকদের কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিতে হয় বলে ব্যাপক লোকসান গুনতে হয় কৃষকদের।’ হাফছড়ি ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘পুরো সড়কটিই ঝুঁকিপূর্ণ, তন্মধ্যে পাহাড়ি সড়কের কিছু অংশে মাটি ধসে অধিকতর ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সামনের বর্ষা মৌসুমের আগে সড়কটি সংস্কার করা না গেলে সড়কটি মোটরসাইকেল চলাচলেরও অনুপযোগী হয়ে পড়বে।’ খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোসলেহ্ উদ্দিন চৌধুরী জানান, সড়কটি ১৯ ইসিবি (ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রকাশন ব্যাটালিয়ন)’র তত্ত্বাবধানে রয়েছে। তবে সড়ক বিভাগের আওতায় সম্প্রতি চারটি কালভার্ট নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। তবে সড়কের সংস্কার বিষয়ে সওজ’র কাছে কোন তথ্য নেই বলে জানান তিনি। ১৯ ইসিবি’র অধিনায়ক লে. কর্ণেল তানভির হোসেন জানান, সড়কটি সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন