শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সাহিত্য

এমিলি ডিকেনসনের কবিতা

অনুবাদ : ভবতোষ হালদার | প্রকাশের সময় : ২৬ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৮ এএম

(ইংরেজি সাহিত্েয এমিলি ডিকিনসন একজন প্রিয় ও স্বনামধন্য কবি। ১০ ডিস্মের ১৮৩০ খ্রিঃ আমেরিকার আমহার্স্টে তিনি জন্মেন। তিনি ছিলেন আমেরিকার একজন আইনব্যবসায়ী ও কংগ্রেসম্যান। ১৫ মে ১৮৮৬ খ্রিঃ তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ইবপধঁংব ও ঈড়ঁষফ ঘড়ঃ ঝঃড়ঢ় ভড়ৎ ফবধঃয- এ কবিতাটি থেকে অনূদিত)

মরণ, কোন প্রতীক্ষা নেই
মরণ, তোমার লাগি কোন প্রতীক্ষা নেই,
প্রণতি আমার, দয়া করে থাম;
থামগো, অমরত্বের পিপাসা গেলনা,
থামাও তোমার ঝলমলে রথ;
টেনে টেনে নিযে চলন্ শ্লথ টানে,
ঝটপট কোন তাড়া নেই,
বিনীত অনুনয়,
আমার শ্রম আমার বিশ্রাম
তোমার জন্য সরিয়ে রেখেছি।
ফেলে যাচ্ছি বাল্েযর পাঠশালা,
একদিন এখানে আমি ছিলাম, ঘাসের কার্পেটে
অবসরে আজও বালিকারা
হৈহৈ করে কাটিয়ে গেল,
স্থির দৃষ্টিতে চেয়ে থাকি,
পেরিয়ে যাচ্ছি সবুজ-শ্যামশ্রী প্রান্তর,
পেরিয়ে যাচ্ছি অস্তাচলের গোধূলি সূর্য;
কিংবা তারাও ছাড়িয়ে চলে যাচ্ছে আমাদের,
ঘাসের ঠোঁটে কেঁপে কেঁপে দুলছে
শীতল শিশির বিন্দু যেন পটে আঁকা ছবি,
ঊর্ণজালের মত অলংকৃত আমার রেশমি সেমিজ,
নয়নে মেখে নিরুদ্দেশে চলে যাচ্ছি।
অহল্যা মৃত্তিকার পরে স্তূপের মত
গৃহ-বিতানে থেমে থেমে অনন্তের দিকে যাচ্ছি,
ভূবন ডাঙ্গায় ভেসে ওঠে দালানের কার্নিশ ও ছাদ,
দিবস দ্রাঘিমা থেকে এ যাত্রা বড় হ্রস্ব মনে হয়,
আবহমানকাল থেকে আজকের শতাব্দী-আজ,
এই প্রথম দূরন্ত ঘোটকীর শির অনুভব করছি-
অনন্তের পানে চলেছিগো ধেয়ে।
ঈযধঃ ঈড়হাবৎংধঃরড়হ ঊহফ
ঞুঢ়ব ধ সবংংধমব...

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন