শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নন্দীগ্রাম উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন নেই ৫ মাস

সকল উন্নয়ন কাজ বন্ধ

প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বগুড়া অফিস : বগুড়ার নন্দীগ্রামে ৫ মাস ধরে উপজেলা পরিষদের মাসিক সভা না হওয়ায় উন্নয়ন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তার কর্মস্থলে না থাকায় বেতন-ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন উপজেলা পরিষদের নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। উন্নয়নকাজ বন্ধ থাকায় উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা চরম হতাশায় পড়েছেন।
সূত্রমতে, ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে উপজেলা পরিষদের সর্বশেষ মাসিক সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে দীর্ঘ ৫মাস যাবত  মাসিক সভা অনুষ্ঠিত না হওয়ায় উপজেলার উন্নয়ন, টি.আর, কাবিখা, কাবিটা, এডিপির কার্যক্রম, হাট-বাজার উন্নয়ন কার্যক্রমসহ সকল ধরনের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বন্ধ হয়ে যায়। উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান একে আজাদ জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকায় সকল ধরনের উন্নয়ন বন্ধ হয়ে গেছে। চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরেই পরিষদের নিয়োগ করা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন-ভাতা পায়। তিনি কর্মস্থলে না থাকায় চেক স্বাক্ষর না হওয়ার কারণে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। যে কারণে উপজেলা পরিষদের অফিসারদের কর্মকান্ডেও স্থবিরতা নেমেছে। ৫মাস ধরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মন্ডল পরিষদে আসেন না। উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তারা জানান, চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর না পেয়ে আমরা বেতন পাচ্ছি না। তাছাড়া বিদ্যুৎ বিল, টিআর, কাবিখা প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। টেলিফোন বিল ও আপ্যায়ন বিল বকেয়া পড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা চেয়ারম্যান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী -এর উপজেলা শাখার আমীর। তার বিরুদ্ধে একাধিক নাশকতার অভিযোগে মামলা রয়েছে। কয়েকটি মামলায় জামিন পেলেও ২টি মামলায় আদালতে হাজিরা না দেয়ায় উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। ফলে দীর্ঘ ৫মাস ধরে উপজেলা পরিষদের সকল ধরনের কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) হাসান শামীম ইকবাল বলেন, দুটি নাশকতার মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট রয়েছে। আদালতে হাজিরা ও জামিন না নিয়ে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এপ্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার ইমাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,  গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় চেয়ারম্যান তার কর্মস্থলে আসেন না। উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভাতেও ৫মাস ধরে তিনি অনুপস্থিত।যে কারণে পরিষদের উন্নয়ন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে আছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে। উপজেলা পরিষদের সকল উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সচল রাখতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন উপজেলা পরিষদের নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন