শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

পড়ে থাকা মোবাইল নম্বরে অপরাধী শনাক্ত

চট্টগ্রাম ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২৮ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

লাশ উদ্ধারের সময় কুড়িয়ে পাওয়া একটি কাগজে লেখা মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে অজ্ঞাত পোড়া লাশের পরিচয় উদঘাটন করেছে পুলিশ। নিহতের নাম দিলীপ (১৮)। তার বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার ল²ীছড়ি গ্রামে।
নগরীর একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া আগুনে পোড়া লাশের পরিচয় উদঘাটনের পাশাপাশি পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িত জীবন আচার্য (১৮) ও দুর্জয় আচার্য (১৬) নামে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। গত শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতারকৃত দুজনের মধ্যে জীবন আচার্য (১৮) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মো. শফি উদ্দিনের আদালতে হত্যার বিষয় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
জবানবন্দিতে জীবন জানায়, প্রতিশোধ নিতেই তারা দুইজন মিলে দিলীপকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। পরবর্তীতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। গত ২১ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নগরীর হালিশহর থানার ফইল্যাতলী বাজার সংলগ্ন খালপাড় এলাকায় তালাবন্ধ একটি বাসায় এক যুবকের পোড়া লাশ পাওয়া যায়। লাশটি সীতাকুণ্ডের কুমিরায় জিপিএইচ ইস্পাত কারখানার শ্রমিক জনৈক দিলীপের (১৮) বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের ডবলমুরিং জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. আশিকুর রহমান।
এসি জানান, ঘটনাস্থলে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা সিম কার্ডের একটি প্যাকেটের উপর লেখা একটি মোবাইল নম্বর পেয়েছিলাম। তবে সিম ছিল না। এই নম্বর ছিল জীবনের এক বন্ধুর। পরবর্তীতে ডিজিটাল তদন্তের মাধ্যমে মোবাইল ব্যবহারকারী ব্যক্তি এবং তার মাধ্যমে আমরা জীবনকে খুঁজে বের করি। জীবনকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এসি আশিকুর জানান, দিলীপ, জীবন ও দুর্জয়- তিনজনই জিপিএইচ ইস্পাত কারখানার শ্রমিক।
তিনজন কারখানার পাশে একটি নির্জন জায়গায় একসঙ্গে গাঁজা সেবন করত। গাজার আসরে দিলীপের সঙ্গে তাদের কয়েকবার ঝগড়া ও মারামারি হয়। তখন দু’জন মিলে দিলীপকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে। দিলীপকে হালিশহরের নাথপাড়ায় তাদের বাসার কাছাকাছি এলাকায় রেললাইনের পাশে গাঁজা সেবনের দাওয়াত দেয়।
গত ১৮ এপ্রিল রাতে দিলীপ সেখানে গাঁজা খেতে আসে। তাকে রেললাইনের পাশে একটি ঝোঁপের মধ্যে নিয়ে দু’জন শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর বস্তায় ভরে লাশ তোলা হয় একটি সিএনজি অটোরিকশায়। প্রথমে খালে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু ফইল্যাতলী বাজার এলাকায় যাবার পর একটি পরিত্যক্ত বাড়ি দেখে সেখানে ঢুকে পড়ে তারা। সেখানে লাশ রেখে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়া হয়। গভীর রাত হওয়ায় বিষয়টি কেউ টের পায়নি। লাশ পোড়ানোর জন্য হালিশহরের বড়পোল এলাকা থেকে জীবন ও দুর্জয় কেরোসিন কিনে নিয়ে গিয়েছিল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন