ঢাকার কচুক্ষেতে লিজা আক্তার (২৫) নামের এক গৃহবধূ খুন হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহতের বাড়ি কুমিল্লার বরুড়ায়।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ঝলম ইউনিয়নের জোড়পুকুরিয়া (অশ্বদিয়া) গ্রামের রশিদ মাস্টারের ছেলে রাজিব (৩৮) এর সাথে প্রায় ৯ বছর পূর্বে জীবনপুর গ্রামের প্রবাসী দিদার আলীর ছোট মেয়ে লিজা আক্তারের বিবাহ হয়। তাদের দীর্ঘ ৯ বছরের সাংসারিক জীবনে ৮ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বামী রাজিবের পরকিয়ার বিষয়ে স্ত্রী লিজা আপত্তি জানালে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রাজিব তাকে চর থাপ্পর দিতে থাকে। পরবর্তিতে রাজিব তার মাথা ধরে দেওয়ালে আঘাত করলে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। ঘটনার সত্য আড়াল করে রাজিবের বড় ভাই নাসির লিজার বাবার বাড়িতে ফোন করে বলে সে স্ট্রোক করে মারা গেছে, আপনারা আমাদের গ্রামের বাড়িতে আসেন, আমরা রাতেই লাশ দাফন করে ফেলবো।
সংবাদটি লিজার বড় বোন লিপি আক্তারের কাছে সন্দেহজনক হলে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই লিজার স্বামী ও তার সহযোগী বেলায়েত, মুহিন ও নাসির পালিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার ও চালকসহ একটি মাইক্রোবাস আটক করে। লিজার হত্যাকাণ্ডের পুরো বিবরণ দেয় তার ৮ বছরের কন্যা শিশু তাসফিয়া।
এ ব্যাপারে নিহত লিজার বোন লিপি আক্তার জানান, ঘটনার দিন লিজা বেলা ২টার দিকে তার সাথে মুঠোফোনে কথা হয়। তখনও লিজা সুস্থ্য ও স্বাভাবিক ছিলো। তাছাড়া লিজার স্বামী ঢাকায় ব্যবসার জন্য আমাদের কাছ থেকে প্রায় ২৩ লাখ টাকা নিয়েছে। টাকা ফেরৎ চাওয়ার বিষয়েও সে তার উপর মানসিক নির্যাতন চালাতো। সম্প্রতি পরকিয়ার সম্পর্কের বিষয়ে আপত্তি জানালে সে ক্ষিপ্ত হয়ে তার মাথা ধরে দেওয়ালে আঘাত করে। ঘটানাস্থলেই লিজার মৃত্যু হয়।
বরুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আজমউদ্দিন মাহমুদ বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন