বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

চীনে ৯৭% রফতানি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে বাংলাদেশ

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৮ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:৫১ পিএম

চীনে শূন্য শুল্কে ৯৭ শতাংশ পণ্য রফতানির সুযোগ পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দেশটির প্রস্তাবিত ‘জিরো ট্যারিফ স্কিম’-এর আওতায় এ সুবিধা পাওয়া যাবে। এজন্য এরই মধ্যে লেটার অব এক্সচেঞ্জ সই করেছে দুই দেশ। দেশটির কাস্টমস থেকে এসআরও জারি হলে আগামী মে মাস থেকে এ সুবিধা মিলবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চীনে শূন্য শুল্কে পণ্য রফতানির সুবিধা নিতে আগ্রহ দেখিয়ে সম্মতিপত্র পাঠানোর পর গত ৩১ জানুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে এ সুবিধা প্রদানের বিষয়টি জানান ঢাকার চীন দূতাবাসের ইকোনমিক অ্যান্ড কমার্শিয়াল কাউন্সিলর লা গুয়ানজিয়ান। একই সঙ্গে এ বিষয়ে চুক্তির দিনক্ষণ চূড়ান্ত করতে বলা হয় ঢাকাকে। পরবর্তী সময়ে ২ এপ্রিল ঢাকার চীন দূতাবাসকে চিঠি দিয়ে লেটার অব এক্সচেঞ্জ সইয়ের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, চীনে শুল্কমুক্ত পণ্য রফতানির সুবিধা নিতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। লেটার অব এক্সচেঞ্জ সই করে গত সপ্তাহে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চীনা দূতাবাসে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি এখন চীনের কাস্টমস কর্তৃপক্ষের আওতায় রয়েছে। চীনা কাস্টমস থেকে এ বিষয়ে এসআরও জারি হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ শূন্য শুল্কে পণ্য রফতানির সুবিধা পাবে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আশা করছেন, আগামী মে মাসের মধ্যে এ-সংক্রান্ত এসআরও জারি করবে দেশটির কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
নতুন প্রস্তাবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকসহ ১৭টি পণ্য অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। তবে চীন তামাক ও ভুট্টা ছাড়া বাকি ১৫টি পণ্যে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে চীনের বাজারে এশিয়া-প্যাসিফিক ট্রেড এগ্রিমেন্টের (আপটা) আওতায় ৮৩টি পণ্যে এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) আওতায় আরো প্রায় ৫ হাজার পণ্যে শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা পাচ্ছে বাংলাদেশ। আপটার আওতায় শুল্ক সুবিধার ক্ষেত্রে স্থানীয়ভাবে ৩৫ শতাংশ এবং শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধার আওতায় ৪০ শতাংশ মূল্য সংযোজনের শর্ত রয়েছে। এ দুটি সুবিধায় চীনের ট্যারিফ লাইনের ৬৫ শতাংশ পণ্যে শুল্ক সুবিধা পায় বাংলাদেশ। তবে এর মধ্যে তৈরি পোশাকসহ দেশের প্রধান প্রধান রফতানি পণ্য অন্তর্ভুক্ত না থাকায় চীনের বাজারে প্রচলিত এই বাণিজ্য সুবিধা বাংলাদেশের কোনো কাজে লাগছে না। তবে নতুন জিরো ট্যারিফ স্কিম সুবিধায় ৯৭ শতাংশ পণ্যে শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সম্পাদিত প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্যের মধ্যে ১০ বিলিয়ন ডলারই চীনের রফতানি আয়। বাকি ১ বিলিয়ন ডলারের পণ্য দেশটিতে রফতানি করে বাংলাদেশ। বর্তমানে চীনে রফতানি হওয়া বাংলাদেশী পণ্যের মধ্যে রয়েছে তৈরি পোশাক, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া, মাছ ও কাঁকড়া, প্লাস্টিক পণ্য, ফুল, সবজি, ফল, মসলা, তামাক ইত্যাদি। বাংলাদেশে উৎপাদিত প্রক্রিয়াজাত চামড়ার ৬০ শতাংশের বেশি চীনে রফতানি হয়। এছাড়া অপ্রক্রিয়াজাত চামড়ারও বড় একটি অংশ যায় দেশটিতে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন