শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

বেপরোয়া গতি কেড়ে নিলো লাবণ্যের জীবন

উবার চালকের গাফিলতি-পুলিশ : আটক ২ জন রিমান্ডে

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

বিশ্বিবদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাহমিদা হক লাবণ্য নিহতের ঘটনায় উবার বাইকের চালক সুমন হোসেন ও কাভার্ড ভ্যানচালক আনিছুর রহমানকে ভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল রোববার দুপুরের পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশের (উপ-পরিদর্শক) নুরুল ইসলাম সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আসামিদের আদালতে হাজির করেন। ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ শুনানি শেষে সুমন হোসেনকে দুই দিন ও আনিছুর রহমানকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন।
অন্যদিকে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার বলছে, উবারের মোটরসাইকেল চালক সুমন যাত্রী ফাহমিদাকে নিয়ে বেপরোয়া গতিতে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন এবং অসৎ উদ্দেশে বারবার ব্রেক করছিলেন। দুর্ঘটনার পর দায় এড়াতে মোবাইল ফোন বন্ধ করে সুমন পালিয়ে যান। পরে চালককে খুঁজে পেতে উবার কর্তৃৃপক্ষের কাছে তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য চাওয়া হলে তারা কোনো সহযোগিতা করেনি। এছাড়া চালক সুমন উবারে রেজিস্ট্রেশনের সময় ভূয়া ঠিকানা ব্যবহার করেছিলেন। উবারের এসব গাফিলতির কারণে সুমনকে খুঁজে পেতে বেগ পেতে হয়েছে। শনিবার আশুলিয়ার বাইশ মাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘাতক কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ এবং এর চালক আনিসুর রহমানকে (২৮) আটক করা হয়। এর আগে গত ২৬ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিংয়ের একটি বাসা থেকে উবারের মোটরসাইকেল চালক সুমনকে আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর থেকেই মোটরসাইকেল চালক ও ঘাতক কাভার্ড ভ্যান চালককে আইনের আওতায় আনতে কাজ শুরু করে পুলিশ। হাসপাতালে সুমন যে ঠিকানা দিয়েছিলেন, সে অনুযায়ী খোঁজ নিয়ে জানা যায় সেটি ভুল ঠিকানা ছিল। উবারের কাছে সুমনের যে ঠিকানা ছিল সেখানে খোঁজ নিয়ে তার সত্যতা পাওয়া যায়নি। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ সহায়তায় গত ২৬ এপ্রিল ভোরে মোহাম্মদপুর থেকে সুমনকে মোটরসাইকেলসহ আটক করা হয়। সুমনের কাছ থেকে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেলেও তিনি অনেক কিছুই আড়াল করার চেষ্টা করছিলেন।
মোটরসাইকেল চালক ও কাভার্ড ভ্যান চালককে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ডিসি বলেন, দুইজনই বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। মোটরসাইকেলের চেয়ে যেহেতু কাভার্ড ভ্যানের গতি বেশি, তাই কাভার্ড ভ্যানটি মোটরসাইকেলটিকে ওভারটেক করার সময় ধাক্কা দেয়। এতে শিক্ষার্থী লাবণ্য পড়ে গিয়ে কাভার্ড ভ্যানের চাকায় পিষ্ট হন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
Ashish Sen ২৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১:০০ এএম says : 0
A B C
Total Reply(0)
Omar Faruque ২৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১:১৭ এএম says : 0
উবার নারী যাত্রী পেয়ে একটু উত্তেজিত ছিল আর তাই দুর্ঘটনা-------!!!!!
Total Reply(0)
Yousof Rony ২৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১:১৭ এএম says : 0
উবার চালক, কাভার্ড ভ্যান চালক ও উবার যাত্রী ৩ জন ই সমান অপরাধী।
Total Reply(0)
Ashraful Islam ২৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১:১৮ এএম says : 0
Need proper justice
Total Reply(0)
ডাহুক পাখি ২৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১:১৮ এএম says : 0
মেয়ে হয়ে অপরিচিত ছেলের বাইকে কেমনে উঠলো?
Total Reply(0)
Mahfuz Rahman ২৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১:১৯ এএম says : 0
বাইক চালক নিজেই নিরাপদ থাকেনা যাত্রিকে কি নিরাপত্তা দিবে? অনতিবিলম্বে বাইকে যাএি পরিবহন বন্ধ করতে হবে।
Total Reply(0)
Sayeed Momin ২৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১:১৯ এএম says : 0
রাসতায় অনেক লোক দৌড়াদৌড়ী করে। অনেক কষটে গাড়ী থামাতে হয়। আবার বলে বেপরোয়া চালক। শহর ছোট, মানুষ অনেক বেশী। সমানে শহর বাড়ানো হচছে। কয়েক বছরের জন্য নতুন আবাসন থামানো দরকার। গ্রামের দিকে সুযোগ দিন । যেমন কম আয়কর, ভ্যাট, চিকিৎসা সেবায় ছাড়।
Total Reply(0)
Lal ২৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১১:২৮ এএম says : 0
Allah ja kore valoi kore
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন