বিশ্বিবদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাহমিদা হক লাবণ্য নিহতের ঘটনায় উবার বাইকের চালক সুমন হোসেন ও কাভার্ড ভ্যানচালক আনিছুর রহমানকে ভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল রোববার দুপুরের পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশের (উপ-পরিদর্শক) নুরুল ইসলাম সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আসামিদের আদালতে হাজির করেন। ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ শুনানি শেষে সুমন হোসেনকে দুই দিন ও আনিছুর রহমানকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন।
অন্যদিকে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার বলছে, উবারের মোটরসাইকেল চালক সুমন যাত্রী ফাহমিদাকে নিয়ে বেপরোয়া গতিতে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন এবং অসৎ উদ্দেশে বারবার ব্রেক করছিলেন। দুর্ঘটনার পর দায় এড়াতে মোবাইল ফোন বন্ধ করে সুমন পালিয়ে যান। পরে চালককে খুঁজে পেতে উবার কর্তৃৃপক্ষের কাছে তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য চাওয়া হলে তারা কোনো সহযোগিতা করেনি। এছাড়া চালক সুমন উবারে রেজিস্ট্রেশনের সময় ভূয়া ঠিকানা ব্যবহার করেছিলেন। উবারের এসব গাফিলতির কারণে সুমনকে খুঁজে পেতে বেগ পেতে হয়েছে। শনিবার আশুলিয়ার বাইশ মাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘাতক কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ এবং এর চালক আনিসুর রহমানকে (২৮) আটক করা হয়। এর আগে গত ২৬ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিংয়ের একটি বাসা থেকে উবারের মোটরসাইকেল চালক সুমনকে আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর থেকেই মোটরসাইকেল চালক ও ঘাতক কাভার্ড ভ্যান চালককে আইনের আওতায় আনতে কাজ শুরু করে পুলিশ। হাসপাতালে সুমন যে ঠিকানা দিয়েছিলেন, সে অনুযায়ী খোঁজ নিয়ে জানা যায় সেটি ভুল ঠিকানা ছিল। উবারের কাছে সুমনের যে ঠিকানা ছিল সেখানে খোঁজ নিয়ে তার সত্যতা পাওয়া যায়নি। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ সহায়তায় গত ২৬ এপ্রিল ভোরে মোহাম্মদপুর থেকে সুমনকে মোটরসাইকেলসহ আটক করা হয়। সুমনের কাছ থেকে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেলেও তিনি অনেক কিছুই আড়াল করার চেষ্টা করছিলেন।
মোটরসাইকেল চালক ও কাভার্ড ভ্যান চালককে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ডিসি বলেন, দুইজনই বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। মোটরসাইকেলের চেয়ে যেহেতু কাভার্ড ভ্যানের গতি বেশি, তাই কাভার্ড ভ্যানটি মোটরসাইকেলটিকে ওভারটেক করার সময় ধাক্কা দেয়। এতে শিক্ষার্থী লাবণ্য পড়ে গিয়ে কাভার্ড ভ্যানের চাকায় পিষ্ট হন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন