কুলাউড়ায় স্বামী সাইদুল ইসলাম লাকি ও শাশুড়ি মমতা বেগমসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনে এক সন্তানের জননী জনি বেগমের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন বাবা আবুল কালাম আজাদ।
গতকাল রোববার কুলাউড়া থানা প্রাঙ্গণে মেয়ের লাশের পাশে দাঁড়িয়ে এসব অভিযোগ করেন তিনি। মেয়ের শ্বশুর কাইয়ুম মিয়ার বাড়ি কুলাউড়ার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের কাজলধারা গ্রামের নওয়াগাঁও এলাকায় শনিবার রাত ১১টার দিকে জানি বেগমের মৃত্যু হয় বলে আবুল কালাম জানান।
বালাগঞ্জ উপজেলার পূর্বগৌরিপুর ইউনিয়নের কাইস্তগ্রাম এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ জানান, শনিবার কুলাউড়ায় ফারুক মিয়ার বাড়িতে দাওয়াতে এসেছিলেন তিনি। সেখান থেকে সন্ধ্যায় মেয়েকে দেখতে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে যান। মেয়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখতে পেয়ে তিনি প্রশ্ন তুললে শ্বশুরবাড়ির লোকজন জনি বেগমকে মৌলভীবাজারের জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। সেখান থেকে রাতেই আবার মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসেন তারা। রাত ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, আমার মেয়ের গলা টিপে তারা হত্যা করেছে, আমি এর বিচার চাই। আবুল কালাম বলেন, ৪ বছর আগে কুলাউড়ার মেয়েকে সাইদুল ইসলাম লাকির সাথে বিয়ে দেই। তাদের দুই বছরের নাজমুস সাকিব নামে একজন সন্তান আছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন