শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

আমাদের সম্পর্ক লোহার মতো শক্ত –শি জিনপিং

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০১৯, ৩:১৫ পিএম

পুলওয়ামা, বালাকোটের পরেও পাকিস্তানের পাশেই রয়েছে চীন। আগামী দিনেও থাকবে। দু’দেশের সম্পর্কটা লোহার মতো শক্ত। যা সহজে ভাঙার নয়। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাশে দাঁড়িয়ে জোরালো ভাবে এই বার্তা দিল বেইজিং। সঙ্গে ইসলামাবাদের উপর এই ভরসাও রাখল, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে তারা যাবতীয় বিরোধ-বিবাদ মিটিয়ে নেবে। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে আঞ্চলিক শান্তি ও সুস্থিতি রক্ষায়।

রোববার, বেইজিংয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকের পর চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘প্রতিরক্ষায় সহযোগিতার ক্ষেত্রে পাকিস্তান সব সময়েই চীনের বন্ধু। চীন আর পাকিস্তানের মধ্যে ‘লৌহ বন্ধুত্বে’র সম্পর্ক। যা সহজে ভাঙার নয়। দু’দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থগুলির সুরক্ষায় বরাবরই একে অন্যকে সমর্থন করে এসেছে। সমর্থন করে চলবেও।’

চিনের স্বপ্নের প্রকল্প ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ ফোরামের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে গত ২৫ এপ্রিল বেইজিংয়ে আসেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তিন দিনের সম্মেলন শেষ হওয়ার পর গত রোববার চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও চিনা প্রধানমন্ত্রী লি কিকিয়াঙের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ইমরান। অবাধ বাণিজ্য চুক্তি ও করাচি-পেশওয়ার রেললাইনের সম্প্রসারণ-সহ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে।

পরে বেইজিংয়ের তরফে এক সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়, দু’দেশের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তার বিবৃতিতে শি জিনপিং বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি বা আঞ্চলিক পরিস্থিতির কতটা কী পরিবর্তন হল, তার উপর কিছুই নির্ভর করছে না। পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় মর্যাদা রক্ষায় বেইজিং সব সময়েই ইসলামাবাদের পাশে থাকবে।’

পুলওয়ামা কাণ্ডের জেরে বালাকোটের ঘটনার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল, তার প্রশমনে চিনের উপ-বিদেশমন্ত্রী কং শুয়ানইউকে ইসলামাবাদে পাঠিয়েছিল বেইজিং।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহার নিয়েও চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা হতে পারে পাক প্রধানমন্ত্রীর। চীন ছাড়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সব সদস্য দেশই চাইছে মাসুদকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী’ ঘোষণা করা হোক। পর পর তিন বার চীন সেই প্রস্তাবে ভেটো দেওয়ায় তা এখনও সম্ভব হয়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন