বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকেই একসাথে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান করতে হবে। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ এক সংবাদ বিবৃতিতে এই কথা বলেছেন। রোহিঙ্গা ইস্যুতে তার সাথে সোমবার বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন। বৈঠক শেষে বলেন ল্যাভরভ দুই দেশের হাতেই এর সমাধান বলে মন্তব্য করেছেন।
ল্যাভরভ বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে আলোচনা ও পারস্পরিক আলোচনা ও বোঝাপড়া ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এই সমস্যা সমাধানে দুই দেশকেই সাহায্য করা।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বর্বর ‘জাতিগত নিধনজজ্ঞ’ চালিয়েছিল মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এই হত্যাযজ্ঞ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো সোচ্চার হলেও চিন-রাশিয়া বরাবরই মিয়ানমারের পক্ষে ছিল। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে যে কোনো কঠোর পদক্ষেপের প্রস্তাবে বরাবরই বিরোধিতা করে আসছে চীন-রাশিয়া। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার নতুন করে রোহিঙ্গা নিধন শুরু করলে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এই হত্যাজজ্ঞকে জাতিগত নিধনযজ্ঞের ‘পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতে, ২০১১ সালের আগস্ট মাসে মিয়ানমার বাহিনী সংখ্যালঘু মুসলমান সম্প্রদায়ের উপর নিধন অভিযান চালু করার পর ৭৫০,০০০ রোহিঙ্গা শরণার্থী, বেশিরভাগ নারী ও শিশু, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে যায় এবং বাংলাদেশে চলে আসে। সূত্র: আনাদুলু এজেন্সি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন