শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দিনে গরম রাতে কুয়াশা তাপদাহে ভিন্নচিত্র রংপুর-দিনাজপুরে

মাহফুজুল হক আনার | প্রকাশের সময় : ১ মে, ২০১৯, ১২:০৫ এএম


প্রচন্ড তাপদাহে পুড়ছে বাংলাদেশ। ব্যতিক্রম উত্তরাঞ্চলের রংপুর বিভাগের ৮ জেলা। শীতকালে প্রচন্ড শীত আর গ্রীষ্মকালে প্রচন্ড গরম এ আবহাওয়ার অঞ্চল বৃহত্তর রংপুর ও দিনাজপুর অঞ্চলে আবহাওয়ার ভিন্নতা লক্ষ করা যাচ্ছে। এখন বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ। আম ও লিচুসহ মৌসুমী ফলে পাক ধরার সময়। অথচ এখনও শেষ রাতে অনুভুত হচ্ছে হালকা শীত। পড়ছে কুয়াশা। সহনীয় আবহাওয়ার কারনে আম-লিচু ফল ও উঠতি বোরো ধান নিয়ে কৃষক স্বস্তিতে আছে। আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে দিনাজপুর অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এখনও ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে ওঠানামা করছে। অপরদিকে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ২৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রয়েছে। রংপুর অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এখনও ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে আছে। গত ২৯ এপ্রিল রাজশাহীতে চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসবিহীন গাছপালার পাতা যেন অনড় আছে। প্রচন্ড গরমে শ্বাস নেয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। পানি পিপাসায় কাতর মানুষ খুঁজছে এক গøাস সরবত। বৃদ্ধ ও শিশুদের অবস্থা আরো করুন। তাপদাহ পীড়িত এ অঞ্চলের হাসপাতালগুলো তাপদাহে রোগীর ভীড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে।
তাপদাহপীড়িত দেশের অধিকাংশ এলাকার তুলনায় বৃহত্তর রংপুর ও দিনাজপুর অঞ্চলে বিরাজ করছে খেয়ালি আবহাওয়া। তাপদাহ কবলিত এলাকার লোকজন এ কারনে দিনাজপুর ও রংপুর অঞ্চলে আসতে ভয় পাচ্ছে। এ অঞ্চলে থাকা নিকট আত্মীয়দের খোঁজখবর নিচ্ছে দেশের অন্যান্য এলাকায় বসবাসকারিরা।
মৌসুমী ফল লিচু এখন গাছে দানা বেধেছে। কিন্তু আবহাওয়ার তারতম্যে মৌসুমী ফল ব্যবসায়ি ও কৃষক স্বস্তিতে আছে। কালবৈশাখী ঝড় ও প্রচন্ড তাপদাহ না থাকায় ফলের কোন ক্ষতি হচ্ছে না। একটু দেরিতে হলেও গাছে লিচু থাকবে। স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে গত ২৯ এপ্রিল দিনাজপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রংপুর থেকে ষ্টাফ রিপোর্টার হালিম আনসারী জানান, ২৯ এপ্রিল রংপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এককথায় রংপুর অঞ্চলে এখনও অসহনীয় তাপদাহ অনুভুত হচ্ছে না।
পঞ্চগড় থেকে এস এম লায়েক আলী জানান, উত্তরের সর্বশেষ জেলা পঞ্চগড়েও ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গরম অনুভুত হচ্ছে কিন্তু এ অঞ্চলের স্বাভাবিক তাপমাত্রার সাথে সহনীয় রয়েছে। ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, লালমনিরহাট জেলাগুলিতেও একই অবস্থা বিরাজ করছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
আবহাওয়াবিদদের মতে এ অঞ্চলে সাধারনত জ্যৈষ্ঠ তথা মে মাসে প্রচন্ড তাপদাহ সৃষ্টি হয়। আর তখনই গরমের কারনে লিচু ও আমে দ্রæত পাকন ধরে থাকে।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন