শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে সবাই

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০১৯, ১২:৩৩ এএম

ঘূর্ণিঝড় ফণির প্রভাবে দেশের বিভিন্নস্থানে ঝড়ো বাতাসের সাথে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। গতকাল বিকাল তিনটা থেকে ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। প্রস্তুত রাখা হয়েছে সাইক্লোন সেল্টার। মাইকিং করে জনগনকে সতর্ক করতে ও আশ্রয়কেন্দ্র যেতে বলা হয়েছে। ঘরবাড়ি ছেড়ে উপক‚লীয় এলাকার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে। জুম্মার নামাজের খুতবার পূর্বে প্রতিটি মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের সচেতন ও দোয়া করা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে সকল নৌযান। আমাদের সংবাদদাতা পাঠানো খবর :
যশোর ব্যুরো জানায়, ঘূর্ণিঝড় ফণির মেঘ বৃষ্টি শুরু হয়েছে গতকাল বিকাল থেকেই। মাঝেমধ্যে হালকা বাতাস হচ্ছে। নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্ততি। যশোর আবহাওয়া দপ্তর সূত্র বলেছে, মধ্যরাতে ফণির দুর্বল আঘাত হানার আশঙ্কা আছে। জানমালের হেফাজতের জন্য বাদ জুমা বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত হয়েছে মসজিদে মসজিদে। মাঠ কর্মকর্তা ড, আখতারুজ্জামান জানান, ৮০ভাগ পেকেছে এমন ধান ও ভুটাসহ তড়িঘড়ি কেটে ঘরে তুলতে বলা হচ্ছে। দেশের সিংহভাগ সবজির যোগানদাতা যশোর অঞ্চলের সবজি কিভাবে রক্ষা করা যায় সে ব্যাপারে মাঠ কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষকদের।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া সৃষ্ট হওয়ায় আজ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সকল ক্লাস, পরীক্ষা ও অফিসসমূহ বন্ধ থাকবে বলে যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো: আহসান হাবীব সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। যশোর শেখ হাসিনা সফটওয়ার টেকনোলজি পার্কের ‘বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সম্ভাবনা’ শীর্ষক শনিবারের কর্মশালা স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি বিভাগ থেকে ফণি মোকাবেলার যাবতীয় প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে।
নোয়াখালী ব্যুরো জানায়, নোয়াখালীতে ঝড়ো বাতাসের সাথে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। নদীতে ভাটা চলছে। তাই অতিরিক্ত জোয়ারের আপাতত লক্ষণ দেখা যাচ্ছেনা। গত রাতে হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপসহ কয়েকটি নি¤œাঞ্চল ২/৩ ফুট জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। হাতিয়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে জনসাধারণকে সাইক্লোন শেল্টারগুলোতে নিরাপদ আশ্রয় নেয়ার জন্য জোর মাইকিং চলছে। ইতিমধ্যে হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপের কয়েক শতাধিক অধিবাসী নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ফণি আতঙ্কে রয়েছে উপক‚লীয় ও দ্বীপাঞ্চলের সাত আট লক্ষাধিক অধিবাসী। কারণ রাত ১২টায় সমূদ্রের জোয়ার বইবে। তখন ঘূর্ণিঝড় শুরু হলে বিপুল প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে রাত ১২টা থেকে রাত তিনটা পর্যন্ত মেঘনা নদীতে পূর্ণ জোয়ার থাকবে। অর্থাৎ এ সময়টা উপক‚লীয় ও দ্বীপাঞ্চলের জন্য মারাতœক ঝুঁকিপূর্ণ। আর যদি জোয়ারের পূর্বে ঘূণিঝড় ফণি এ অঞ্চল অতিক্রম করে তাহলে ক্ষয়ক্ষতি কম হবে বলে হাতিয়ার কয়েকজন অধিবাসী জানায়।
হাতিয়া ইউএনও’র দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের আওতাধীন সকল বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। উপজেলা কমপ্লেক্সে স্থাপিত কন্ট্রোল রুপ সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে। মাইকিং ও স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে জনসাধারনকে নিরাপদ স্থানে সরে যাবার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসন তৎপর রয়েছে।
হাতিয়া আসনের এমপি আয়েশা ফেরদৌস জানান, স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি মোকাবেলায় তৎপর রয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েক হাজার অধিবাসী নিরাপদস্থানে আশ্রয় নিয়েছে। পুলিশ, কোস্টগার্ড ও উপজেলা প্রশাসন সম্মিলিতভাবে কাজ করছে। এছাড়া প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যরা স্থানীয় লোকজনকে নিরাপদে আশ্রয় গ্রহনসহ সর্বাতœক সহযোগীতা প্রদান করছে।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, ঘূর্ণিঝড় ফনি রাজশাহীর উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় তা মোকাবেলায় রাজশাহীতেও ব্যাপক সর্তকতামূলক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। নগর থেকে উপজেলা পর্যন্ত সতর্ক করে প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে। স্কুল কলেজগুলো খুলে দেয়া হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহারের জন্য। জেলা প্রশাসন উপজেলা প্রশাসন সর্বত্রই কমিটি গঠন করে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রস্তুত রয়েছে ফায়ার সার্ভিস, মেডিকেল টিম। রেডক্রিসেন্টের প্রশিক্ষিত দুর্যোগ মোকাবেলা উদ্ধার ও ফাস্ট এইড টিম প্রস্তুত রয়েছে। রাজশাহী সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন খোঁজ খবর রাখছেন। নগরবাসীকে সর্তক থাকার অনুরোধ জানাচ্ছেন। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য শুকনো খাবারসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রস্তুত রেখেছেন।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার আহবান জানাচ্ছে। খোলা হয়েছে জেলা ও উপজেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। দুপুরে জুম্মার নামাজে মসজিদে মসজিদে ধেয়ে আসা দুর্যোগ থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর দরবারে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দুপুরের পর থেকেই নগরী একদম ফাঁকা। বৃষ্টি আর ঝড়ের শঙ্কায় বাইরে আসছেনা। সবার চোখ টিভির পর্দায়। জানার চেষ্টা করছে ফনির অবস্থানের কথা।
নাছিম উল আলম বরিশাল থেকে জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণি’র প্রভাবে গতকাল দুপর থেকে দেশের দক্ষিণ উপক‚লে আবহাওয়া কিছুটা পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। মধ্যরাতের পরেই ফণি সুন্দরবন-এর সর্ব দক্ষিণে হিরন পয়েন্ট থেকে পশ্চিমের রায়মঙ্গল হয়ে পশ্চিমবঙ্গ উপক‚লে আছড়ে পরার কথা রয়েছে। পাঁচশতাধিক আশ্রয় কেন্দ্রে গতকাল সকাল থেকে অন্তত ৪০হাজার নারী-শিশু ও বয়স্কদের আশ্রয় দেয়া হয়েছে। রাত ৮টার দিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সমগ্র দক্ষিণ উপক‚লজুড়েই মেঘলা আকাশের সাথে গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছিল। বাতসের তেমন তীব্রতা নেই। সরকারি নির্দেশে উপক‚লের ১৩টি জেলার ৪০টি উপজেলার সাড়ে ৩শ’ বেশি ইউনিয়নের কয়েক লাখ নারী ও শিশুসহ বয়স্ক এবং অসুস্থদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসার কাজ শুরু হয় সকাল থেকে। রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী-সিপিপি’র ৫৫হাজার সেচ্ছাসেবক উপক‚লের ৪০টি উপজেলার সাড়ে ৩শ ইউনিয়নে তার ৩ হাজার ৬৮৪টি ইউনিটের মাধ্যমে অভিযানসহ প্রচারণার কাজে রয়েছে। সাইরেন বাজান ছাড়াও ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় মাইক যোগে প্রচারাণার পাশাপাশি বিপদ সংকেতপূর্ণ ৩টি করে লাল পতাকা উত্তোলন করা হয় দক্ষিণ উপক‚লজুড়ে। সিপিপি’র বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, খুলনা, চট্টগ্রাম,কক্সবাজার ও নোয়াখালী জোনাল অফিসগুলোর সাথে উপক‚লের ১৪৬টি ভিএইচএফ ও এইচএফ স্টেশনের মাধ্যমে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা করে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা সহ মনিপটরিং অব্যাহত রয়েছে।
সিলেট ব্যুরো জানান, সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে জেলা প্রশাসন সিলেট। উপজেলাগুলোতে খোলা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র। প্রতিটি উপজেলায় হাওরাঞ্চল সংলগ্ন মানুষকে নিরাপদ থাকতে উপজেলা প্রশাসনের তরফ থেকে সতর্কতাম‚লক মাইকিং করা হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মনিটরিং সেল খোলা হয়েছে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক স›দ্বীপ সিংহ। সেই সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের তত্বাবধানে প্রতিটি উপজেলায়ও মনিটরিং সেল করা হয়েছে। প্রয়োজনবোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকেও আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে কাজে লাগাতে নির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. হিমাংশু লাল রায় জানান, প্রতিটি উপজেলার মেডিকেল অফিসারদের তত্বাবধানে মেডিকেল টিম প্রস্তুত আছে ।
সাতক্ষীরা থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, সাতক্ষীরা উপক‚লে ঝড়ো বাতাসের সাথে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। অন্ধকার হয়ে আছে প্রকৃতি। ঘরবাড়ি ছেড়ে উপক‚লীয় এলাকার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে ছুটছে। ইতোমধ্যে কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষকে নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, সাতক্ষীরায় ১৩৭টি আশ্রয় কেন্দ্রসহ স্কুল-কলেজগুলো আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সকাল ১০টা পর্যন্ত আশাশুনি ও শ্যামনগরের ১০ হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হয়েছে। ৮৫টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা জানান, ঝালকাঠিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব এলাকার লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দুপুরের পর থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে বৃষ্টি পড়ছে। জেলার চারটি উপজেলায় ৪৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে দেড় হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। চলছে মাইকিংয়ের মাধ্যমে সতর্কবার্তা প্রচার করা হচ্ছে। লাল পতাকা টাঙিয়ে সতর্ক সংকেত দেখানো হয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫টি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে লঞ্চ চলাচল। দুর্যোগের সময় ইঞ্জিনচালিত ট্রলার ও নৌকা চলাচলও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ল²ীপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, সকল প্রস্তুুতি সম্পন্ন করছে ল²ীপুর জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে উপক‚লীয় এলাকায় মাইকিং করে জনসাধারণ, মেঘনায় অবস্থানরত জেলে ও নৌকাসহ সকল ইঞ্জিন চালিত ট্রলারকে নিরাপদে আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। প্রায় ৩ হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এখনো ২০ হাজার মানুষ ঝুঁকিপূর্ণভাবে চরাঞ্চলে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। ৬৬টি মেডিকেল টিম ও ৭৬টি আশ্রয়নকেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌ-রুটে সকল ধরনের নৌ-যান চলাচল চন্ধ ঘোষণা করা হয়।
আরিচা সংবাদদাতা : নদী বন্দর আরিচা- পাটুরিয়া ঘাট থেকে ফেরি, লঞ্চ- স্পিডবোটসহ সকল প্রকার নৌযান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফলে অনেক যাত্রী আরিচা-কাজিরহাট, পাটুরিয়া -দৌলতদিয়া ঘাটে এসে আটকে পড়েছে। বিআইডবিøউটিসি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বেলা ২টা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে দুই পাড়ে তিন শতাধিক যানবাহন আটকে পড়েছে।
বামনা (বরগুনা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, বরগুনার বামনায় বিকাল তিনটা থেকে ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে। উপজেলা প্রশাসন ফণি মোকাবিলায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। এদিকে উপজেলার প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৪৪টি সাইক্লোন সেল্টার। মাইকিং করে জনগনকে সতর্ক করতে ও আশ্রয়কেন্দ্র যেতে বলা হয়েছে। এছাড়াও জুম্মার নামাজের খুতবার পূর্বে প্রতিটি মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের সচেতন করা হয়েছে।
বাগেরহাট জেলা সংবাদদাতা জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’র কবল থেকে রক্ষা পেতে বাগেরহাটে মসজিদে মসজিদে বিশেষ তওবা ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল জুমা মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে জেলার সকল মসজিদের ইমাম, মুসল্লিরা দোয়া ও তওবা করেন।
তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ঘুর্ণিঝড় ফণির প্রভাবে পঞ্চগড়ে থেমে থেমে এক দুই ফোটা করে বৃষ্টি পড়ছে। জেলা প্রশাসন সকল প্রস্ততি নিয়েছে। শুক্রবার বিকেলে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে ফণি মোকাবেলায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের সাথে প্রস্ততিমূলক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসন এ জরুরি সভার আয়োজন করে। জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন জানান জেলা ও উপজেলায় কন্টোলরুম খোলা হয়েছে। জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, বিভিন্ন সংগঠনের ভলানটিয়ার,স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী ও বিদ্যুৎ বিভাগের সদস্যরা প্রস্তত রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন