সরিষাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী কাজীপুরের রগুনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর ছাত্র আল আমীনকে ঐ স্কুলের সহকারী শিক্ষক শাহাজাহান আলী সোমবারে বেত্রাঘাত করলে সে হাসপাতালে মৃত্যু শয্যায় কাতরাচ্ছে। বিষয় প্রথমে গোপন থাকলে পরে জানাজানি হলে এলাকায় দারুন চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে। রগুনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও এলাকার একাধিক সুত্রে জানা গেছে, রগুনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রভাবশালী ও কাজীপুর এসএসসি কেন্দ্রের নকল সরবরাহী শিক্ষক হিসেবে পরিচিত শাহজাহান মাষ্টার গত ২৭ এপ্রিল শনিবার সকালে ১০ম শ্রেনীর ঐ ছাত্র আল আমীনকে কবুতরের বাচ্চা রাখার জন্য কলার খোলের ডোঙ্গা তৈরী করে দিতে বলে। ছাত্র আল আমীন ডোঙ্গা তৈরী করে দিলেও তা ঐ শিক্ষক শাহজাহান আলীর কাছে মনোপুত না হওয়ায় ছাত্রকে ধমকায়। ছাত্রের বড় ভাই নুরে আমীন বিষয়টি শাহজাহান মাষ্টারের কাছে শুনতে যাওয়ার অপরাধে দুদিন পরে ২৯ তারিখ সোমবারে ছাত্র আল আমীন স্কুলে এলে তাকে ডেকে নিয়ে বেদম প্রহার করে। আল আমীন জ্ঞান হারিয়ে ফেললে ক্লাশের অন্যান্য ছাত্র ছাত্রী ও এলাকাবাসী আল আমীনকে নিকস্থ সরিষাবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি করায়। ভর্তির ২ দিন পরে বুধবারে শিক্ষক শাহজাহান আলী সরিষাবাড়ী হাসপাতাল গিয়ে ছাত্রকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধমকিয়ে সেখান থেকে বের করে দিলে ঐ ছাত্র কোথায় আছে কেই জানেনা। এ নিয়ে এলাকায় কদিন ধরে নিরব গুন্জন চলছে। রগুনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনছার আলীর সাথে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এমন একটি ঘটনা ঘটেছে শুনেছি তবে এখন পর্যন্ত কেউ আমার কাছে অভিযোগ করেনি। আর আমার ঐ শিক্ষক বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে তিনি আমাকে ফোনে জানান। কাজীপুর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এলিজা সুলতানার সাথে কথা হলে তিনি জানান, এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান সিদ্দিকীর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ গড়লে তিনি বিষয়টি আমাকে অবহিত করেন। পাবলিক পরীক্ষার কারনে আমি তদন্তে যেতে পারি নাই। আগামী ৪/৫ দিনের মধ্যে এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও গন্যমান্যদের সাথে কথা বলব। স্থানীয় চরগিরিস ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহুরুল হক মিন্টু জানান, বিষয়টি বেশী বড় আকারের নয়, আপনারা সাংবাদিকরা এ নিয়ে মাথা ঘামিয়েন না, আমরা এটা মিমাংশা করে ফেলব। উল্লেখ্য রগুনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ঐ শিক্ষক শাহজাহান আলী ১৯৯০ সন থেকে কাজীপুরের এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে ছাত্র ছাত্রীদেরকে পরীক্ষায় অসৎ উপায়ে সহায়তা করে পরীক্ষার সময় লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় এমন তথ্য নির্ভরযোগ্য একটি সুত্র জানায়। বর্তমানে ঐ শিক্ষক শাহজাহান আলী স্কুলের সাথে কোন যোগাযোগ না রেখে ঢাকায় গোপন করে আছে।