খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, দৈনিক ইনকিলাবের বিশেষ প্রতিনিধি ও ব্যুরো প্রধান এটিএম রফিকের নামাজে জানাজা সোমবার আসরবাদ খুলনা আলিয়া কামিল মাদ্রাসা জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজা নামাজে ইমামতি করেন খুলনা আলিয়া মাদরাসার অব: প্রিন্সিপাল আলহাজ্ব মাও: আবু সালেহ। জানাজা শেষে নগরীর টুটপাড়া কবরস্থানে তাকে চির নিদ্রায় শায়িত করা হয়।
জানাজা পূর্ব বক্তৃতায় ও দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দিন সহ ইনকিলাব পরিবারের পক্ষ থেকে ব্যুরো প্রধান ফোরামের সভাপতি, ইনকিলাবের যশোর ব্যুরো প্রধান ও বিশেষ প্রতিনিধি মিজানুর রহমান তোতা অংশগ্রহন করেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন দৈনিক ইনকিলাবের খুলনা ব্যুরো প্রধান আলহাজ্ব আবু হেনা মুক্তি, মহানগর বিএনপি’র সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, জেলা বিএনপি’র সভাপতি এ্যাড: শফিকুল আলম মনা, সাধারণ সম্পাদ আমীর এজাজ খান, সাবেক বটিয়াঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড: লিয়াকত আলী মোল্লা, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর অধ্যাপক গোলাম পরওয়ার, খুলনা মহানগর আমীর আবুল কালাম আজাদ, খুলনা মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ।
এর আগে সোমবার সকালে ভারত থেকে এটিএম রফিকের কফিন তার গ্রামের বাড়ি খুলনা জেলার বটিয়াঘাটায় নেয়া হয়। এসময় সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনি, ভাই-বোনসহ আত্মীয়-স্বজন ও সহকর্মীদের আহাজারীতে এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।
গ্রামের বাড়ি সংলগ্ন মসজিদে জোহরবাদ এটিএম রফিকের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন গোপালগঞ্জ নেছারিয়া কামিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুফতি মাওলানা গোলাম কিবরিয়া।
এতে এমইউজে খুলনার সভাপতি মো. আনিসুজ্জামান, সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক আজীজী, খুলনা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি রাশিদুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য হাসান আহমেদ মোল্লা, এমইউজে খুলনার কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক রানা, মুহাম্মদ নুরুজ্জামান, দৈনিক ইনকিলাবের ব্যুরো প্রধান আবু হেনা মুক্তি, আবুল হাসান শেখ, হোসাইন বিল্লাহ মাসুম, মাওলানা আবু ইউসুফসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এরপর তার কফিন খুলনা মহানগরীর পশ্চিম টুটপাড়ার দিলখোলা রোডের বাড়িতে আনা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব পরিবারের পক্ষ থেকে ব্যুরো প্রধান ফোরামের সভাপতি ও যশোর ব্যুরো প্রধান মিজানুর রহমান তোতা মরহুম এ টি এম রফিকের বাসভবনে গিয়ে তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
উল্লেখ্য, গত ২০ এপ্রিল ভারতের ব্যাঙ্গালুরের নারায়না হেলথ সিটি হাসপাতালে ওপেনহার্ট সার্জারি শেষে অবস্থার অবনতি হয়। এরপর তাকে হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে রাখার ১২ দিন পর গত ৩ মে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাংবাদিক এটিএম রফিক ১৯৭৭ সালে সুন্দরবন কলেজে লেখাপড়ার পাশাপাশি দৈনিক প্রবাহের মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু করেন। ১৯৮০ সালে তিনি দৈনিক আজাদ এ যোগদান করেন। এরপর তিনি দৈনিক ইনকিলাবের ব্যুরো প্রধান হিসেবে কাজ শুরু করেন। সেই থেকেই তিনি দৈনিক ইনকিলাবের পাশাপাশি সান্ধ্য দৈনিক কালান্তর, দৈনিক অনির্বাণ ও ঢাকার একটি অন লাইন পোর্টালে কাজ করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল সাংবাদিক এটিএম রফিককে ভারতের ব্যাঙ্গালুরের নারায়না হেলথ সিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ৭ এপ্রিল মিনি স্ট্রোক করেন। সে সময়ও একটি ছোট অপারেশন করা হয়েছিল। সর্বশেষ গত ২০ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ৬ ঘন্টা ধরে ডাঃ দেবী শেঠী ও ডাঃ রমেশ শেষাদ্ধীর নেতৃত্ব একটি টিম তার ওপেনহার্ট সার্জারী করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন