বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

বিনোদন প্রতিদিন

বিকেলেই সুবীর নন্দীর শেষকৃত্য

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ মে, ২০১৯, ১:৩৩ পিএম | আপডেট : ৯:৫৪ পিএম, ৮ মে, ২০১৯

শেষ শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে আনা হয়েছে বরেণ্য সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দীর মরদেহ। বুধবার বেলা ১১টায় শহীদ মিনারে রাখা হয় তার মরদেহ। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে শেষবারের মতো শ্রদ্ধ জানানো হচ্ছে নন্দিত এই সংগীত তারকাকে। শহীদ মিনারে সুবীর নন্দীর মরদেহর সঙ্গে উপস্থিত আছেন তার পরিবারের সদস্যরা। এছাড়া শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন দেশের শিল্পী সমাজ ও ভক্তরাও।
এর আগে এই সংগীতশিল্পী মরদেহ সিঙ্গাপুর থেকে বুধবার সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছায়। সেখান থেকে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় গ্রিন রোডের বাসায়। শহীদ মিনার থেকে সুবীর নন্দীর মরদেহ নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে এফডিসিতে। এরপর নেওয়া হবে চ্যানেল আইয়ের কার্যালয়ে। পরে রাজধানীর সবুজবাগের বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির ও শ্মশানে আজ বিকেলেই তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
একুশে পদকপ্রাপ্ত জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পী গত মঙ্গলবার (৭ মে) বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৪টায় সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এদিকে টানা ১৮ দিন অজ্ঞান থাকার পর সুবীর নন্দী চোখ খোলেন গত শুক্রবার। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৩০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুস, কিডনি ও হৃদরোগে ভুগছেন সুবীর নন্দী।
গত ১৪ এপ্রিল শ্রীমঙ্গলে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ঢাকায় ফেরার পথে উত্তরায় কাছাকাছি আসতেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে সুবীর নন্দীর। এর পর সেখান থেকে সরাসরি সিএমএইচে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর পরই তাকে লাইফ সাপোর্টে দেওয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, নন্দিত এই কণ্ঠশিল্পী ১৯৫৩ সালের ১৯ নভেম্বর হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানায় নন্দীপাড়ার এক কায়স্থ সম্ভ্রান্ত সংগীত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৩ সালে তৃতীয় শ্রেণী থেকেই গান গাওয়া শুরু করেন ছোট্ট সুবীর। এরপর ১৯৬৭ সালে তিনি সিলেট বেতারে গান করেন। তার গানের ওস্তাদ ছিলেন গুরু বাবর আলী খান। লোকগানে ছিলেন বিদিত লাল দাশ।
৪০ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে গুণী এই শিল্পী গেয়েছেন আড়াই হাজারেরও বেশি গান। বেতার থেকে টেলিভিশন, তারপর চলচ্চিত্রে গেয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান। চলচ্চিত্রে প্রথম গান করেন ১৯৭৬ সালে আব্দুস সামাদ পরিচালিত ‘সূর্যগ্রহণ’ চলচ্চিত্রে। ১৯৮১ সালে তার একক অ্যালবাম ‘সুবীর নন্দীর গান’ ডিসকো রেকর্ডিংয়ের ব্যানারে বাজারে আসে। তিনি গানের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ব্যাংকেও কর্মরত ছিলেন।
সুবীর নন্দী জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন চারবার। সংগীতে অবদানের জন্য এ বছর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক পান তিনি। এছাড়া এই তারকার ঝুলিতে রয়েছে অসংখ্য পুরস্কার। এরমধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস) পুরস্কার। বিনোদন সাংবাদিকদের ঐতিহ্যবাহী এই সংগঠনটি থেকে সুবীর নন্দী পেয়েছেন তিনি তিনবার সম্মাননা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন