গতকাল বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দু’পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ কমপক্ষে ৩০জন আহত হয়েছে। এসময় দাঙ্গাবাজরা বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। জানা যায়, উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের তেরকান্দা গ্রামের ফজলু মেম্বার ও নাজিম উদ্দিনের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার জায়গা-জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। তাদের মধ্যে মারধর ও মামলা মোকদ্দমাও চলমান রয়েছে। এ ঘটনার পর থেকেই নাজিম উদ্দিন ও তার লোকজন গত ৩ মাস ধরে গ্রামের বাহিরে ছিলেন। গত ৩-৪ দিন আগে তারা গ্রামে ফিরলে উত্তেজনা দেখা দেয়। এদিকে সম্প্রতি নাজিম উদ্দিনের দেয়া মামলায় জেল খাটে ফজলু মেম্বার। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে ফজলু মেম্বারের লোকজন নাজিম উদ্দিনের লোকজনের উপর হামলার চেষ্টা করে। এতে উভয় পক্ষের শত শত লোক দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গ্রামের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সংঘর্ষ এক পর্যায়ে সারা গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। বিপুল পরিমাণ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়। এসময় দাঙ্গাবাজরা বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এস.এম মোসা। জেলা থেকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল থানা পুলিশের সাথে যোগ দেয়। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেন। ২ ঘন্টার সংঘর্ষে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নুরুল হক সহ উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহ হয়েছে। পুলিশি গ্রেপ্তারের ভয়ে আহতরা গোপনে বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছে। সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। যে কোন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন