আগামী এক বছরের মধ্যে দেশের থ্যালাসেমিয়া রোগীদের চিকিৎসা গ্রহণ সহজসাধ্য করতে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ওয়ানস্টপ সার্ভিস করা হবে। থ্যালসেমিয়া রোগীদের রক্ত পরিসঞ্চালন বিনামূল্যে করা হবে। যেহেতু এই রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল তাই আগামী অর্থ বছরে এই খাতে বরাদ্ধ বাড়ানো হবে। পাশাপাশি দেশের সব থালসেমিয়া রোগীর নিবন্ধন করা হবে।
বুধবার (৮ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ। বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক সমূহ) ডা. আমিনুল হাসানের সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমন্বয়ক প্রফেসর ডা. বেনজির আহমেদ, ঢাকা মেডিকেল কলেজের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. এম এ খান, রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. মাজহারুল হক তপন, ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. মাহবুবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. আসাদুল ইসলাম, গাইনি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রেজাউল করিম কাজল, এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহাজাদা সেলিম ওজিএসবির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডা. ফিরোজা বেগম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, থ্যালাসেমিয়া একটি জনস্বাস্থ্য সমস্যা। অন্য অনেক রোগের মতো এই সমস্যা নির্মুল করা সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন জনসচেতনতা। বর্তমানে যারা আক্রান্ত রয়েছেন তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে কোন থ্যালাসেমিয়া রোগীকে কাষ্ট পেতে না হয়। তারা বলেন, এই রোগ নির্মূল করতে হলে বিয়ের আগে সাবাইকে রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। কিন্তু কেউই বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা করতে চান না। তাই শৈশবকালীন সময়ে যেসব শিশুদের এনিমিয়া লক্ষ্য করা যাবে তাদেরকে পরীক্ষা করতে হবে। এক্ষেত্রে যারা বাহক তারা যেন কোন বাহককে বিয়ে না করে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া থেলাসেমিয়া রোগীদের আয়রন ওষুধ না খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন