ঘূর্ণিঝড় ফণীর বিপদ কাটতে না কাটতেই শুরু হয়েছে তাপদাহের বিপদ। রাতদিন সমানতালে পড়ছে গরম। ফ্যানের বাতাসেও শরীর ঘেমে যাচ্ছে। টানা কয়েকদিনের তাপদাহে যশোর ও খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য কার্যত ঝিমিয়ে গেছে। দেশের মোট চাহিদার সিংহভাগ সবজির যোগানদাতা অঞ্চলটিতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। মাঠ থেকে সবজি তোলার সাথে সাথেই নেতিয়ে পড়ছে। চাষিরা দিনের বেলায় মাঠে নামছেন কমস। তাদের কথা, প্রচন্ড খরতাপে মাটি গরম হওয়ায় মাঠে নামতে না পারায় রাতের বেলায় সবজির পরিচর্যা করছি। এখন মাঠে মাঠে বোরো ধান কাটার ভরা মৌসুম চলছে। কৃষি শ্রমিক সংকটে এমনিতেই ধান কাটা কষ্টকর হচ্ছে। তার উপর গরমে কাহিল হয়ে কৃষকরা সময়মতো ধান কাটা, মাড়াই, শুকানো, বস্তাভর্তি ও বাজারে তোলার কাজ করতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন।
গোটা অঞ্চলের শিল্প কলকারখানায় কাজকর্ম একরকম থেমে গেছে। রমজানের শুরুতে দিনে রাতে যেভাবে হাট-বাজারে উপচেপড়া ভিড় হয় গরমের কারণে তা বহুগুণে কমে গেছে। বড় বাজারের মনষা বস্ত্রালয়ের মালিক চিন্ময় সাহা বললেন, মানুষ গরমে বের হতে পারছে না, তা কেনাকাটা করবে কিভাবে, আমাদের কর্মচারিরাও তো সবাই দোকানে আসছে না। ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে তাপদাহে। গ্রাম, শহর পাড়া মহল্লার কোথাও পুকুর কিংবা ডোবায় একটু পানি পেলে ঝাপ দিয়ে পড়ছে কর্মক্লান্ত মানুষ। শুধু মানুষ নয়, পশু-পাখি প্রাণীকুল হাঁসফাঁস করছে গরমে। রাস্তাঘাটে চলাচলও তুলনামুলক কমে গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন