বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

যশোরে ‘ছেলেধরা’ গুজবে আতঙ্ক

যশোর ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১১ মে, ২০১৯, ৬:০৫ পিএম

যশোরে ‘ছেলেধরা’ গুজবে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘ছেলেধরা’র এই গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। গুজব উঠেছে, যশোরের ঝিকরগাছা ও শার্শায় রোহিঙ্গারা শিশুদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়রা এলাকায় অপরিচিত লোক দেখলেই ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করছে। যদিও পুলিশ বলছে, ছেলেধরা নিছক গুজব। মানসিক প্রতিবন্ধী, অপরিচিত লোকজনের এলাকায় এলোমেলো চলাফেরা দেখলেই গণধোলাই দেওয়া হচ্ছে। যা দুঃখজনক। যদি ছেলেধরা হয়েও থাকে, এভাবে মারপিট করা ঠিক না। তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হোক।
জানা যায়, শুক্রবার সকালে বেনাপোল মাছ বাজার এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে এক নারীকে মারপিট করে এলাকাবাসী। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। একই দিন ঝিকরগাছার জননী সুপার মার্কেট এলাকায় এক যুবককে গণধোলাই দেয় স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার দুপুরে পারবাজার এলাকায় অপর এক যুবককে ছেলেধরা সন্দেহে মারপিট করা হয়। বুধবার রাতে শ্রীরামপুর গ্রামে ও নওয়াপাড়া গ্রামে দুই মহিলাকে গণপিটুনি দেওয়া হয়। এছাড়াও মঙ্গলবার বিকেলে বেজিয়াতলা গ্রামে এক ব্যক্তিকে গণধোলাই দেয় স্থানীয়রা। ছেলেধরা ও রোহিঙ্গা অপহরণকারী গুজবে এলাকায় এইসব অপরিচিত লোকদের এলোমেলো চলাফেরা করতে দেখে গণধোলাই দিয়েছে।
এদিকে, গুজবে কান না দিয়ে সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়েছেন ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুর রাজ্জাক। ঝিকরগাছা থানার অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে বৃহস্পতিবার জনসচেতনতামূলক পোস্ট দিয়েছেন ওসি। তিনি উল্লেখ করেন, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে কতিপয় লোক শিশু পাচারকারী/রোহিঙ্গা বলে অভিহিত করে মানসিক ভারসম্যহীন অজ্ঞাতনামাদের মারপিট করে এলাকায় গুজব সৃষ্টি করছে। এতে সাধারণের জনমনে ভীতি প্রদান করছে। কতিপয় ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে গুজব সৃষ্টি করে অহেতুক জনমনে ভীতি সৃষ্টি করছে।
যশোর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আনছার উদ্দিন বলেন, কিছু মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে গুজব ছড়াচ্ছে। এলাকার লোকজন অপরিচিত ও মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিদের দেখলেই ‘ছেলেধরা’ গুজবে গণধোলাই দিচ্ছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোন সত্যতা মেলেনি। এবিষয়ে সচেতনতার জন্য ঝিকরগাছার ওসিকে মাইকিং করতে বলেছি।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন