শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

পাবনায় রসিকতা করে শ্রমিকের পায়ূপথে বাতাস ঢুকিয়ে হত্যার অভিযোগ

পাবনা থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ মে, ২০১৯, ১:৩০ পিএম

পাবনায় রসিকতা করে পায়ু পথে হাওয়া প্রবেশ কারণে এক শ্রমিকের প্রাণ সংহার হয়েছে। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৩ দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে মৃত্যু বরণ করেছেন,
দুলাল হোসেন (২৮) নামের শ্রমিক। হত্যার অভিযোগ উঠেছে বরাত হোসেন নামের আরেক সহকর্মী শ্রমিকের বিরুদ্ধে। শনিবার (১১ মে) দুপুর ২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দুলাল।
নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আরজান আলী জানান, গত বৃহস্পতিবার সকালে অন্যান্য দিনের মত দুলাল পাবনা বিসিক শিল্প নগরীতে শ্রমিকের কাজ করতে যায়।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে পাবনা বিসিক শিল্প নগরীতে তাকে পায়ু পথে হাওয়া ঢোকানোর ঘটনা ঘটে। নিহত দুলাল পাবনার চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের পূর্বটিয়ারতলা গ্রামের আবু বক্কারের পুত্র। অভিযুক্ত বরাত হোসেন একই গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে। সূত্র মতে,
অতিরিক্ত গরমের কারণে দুলাল তার সহকর্মী অপর শ্রমিক বরাত হোসেনকে নাকি ধুলা পরিস্কার করার মেশিন দিয়ে শরীরে বাতাস দিতে বলে। এ সময় রসিকতা করে বরাত হোসেন পাইপ দিয়ে দুলালের পায়ুপথে হাওয়া ঢুকিয়ে দিলে দুলাল অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রথমে তাকে পাবনা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতাল ও পরে অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিন দিন পর দুপুরে দুলালের মৃত্যু হয়।
এদিকে,
শনিবার বিকেলে দুলালের লাশ বাড়িতে নিয়ে আসলে সেখানে এক হৃদয় বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পাবনা সদর থানা পুলিশ দুলালের লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাবনা নিয়ে যান। এই ঘটনার পর পালিয়ে যায় অভিযুক্ত বরাত হোসেন।
পাবনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওবাইদুল হক বলেন, পুলিশকে না জানিয়ে দুলাল নামের ওই শ্রমিকের লাশ বাড়িতে নিয়ে যায় স্বজনরা। তবে পায়ুপথে হাওয়া ঢোকানোর কারণে তার (দুলাল) মৃত্যু হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে ময়না তদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর।
চাটমোহর থানার পরিদর্শক তদন্ত মো. শরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, পাবনা সদর থানা পুলিশের মাধ্যমে তারা খবর পেয়ে অভিযুক্ত বরাত আলীকে ধরতে অভিযান শুরু করেছি। তবে ঘটনাটি যেহেতু সদর থানায় ঘটেছে, এ ব্যাপারে তারাই আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। পাবনা সদর থানা ওসি আরও বলেন, পায়ূপথে বাতাস ঢুকিয়ে ইতোপূর্বে দেশে শিশু-কিশোরের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে.সেটি ছিল নির্যাতন। একজন বললেই অপরজন রসিকতা করে বেআইনী কাজ করতে পারেন না। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে জানা যাবে পায়ূপথে বাতাস প্রবেশ করানোর বিষয়টি। পাবনা সদর থানা পুলিশ ও চাটমোহর পুলিশসহ আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযুক্ত শ্রমিক বরাতকে আটকের চেষ্টা শুরু করেছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন