বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

এক হাজার ২৮১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ মে, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

 আসছে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের বাজেটে অগ্রাধিকার পাচ্ছে ‘শেখ হাসিনা নকশী পল্লী প্রকল্প’। প্রকল্প বাস্তবায়নে জমি অধিগ্রহণে ৭০০ কোটি টাকাসহ মোট এক হাজার ২৮১ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। স¤প্রতি বরাদ্দ চেয়ে অর্থ সচিবকে আধা সরকারি (ডিও) পত্রও দিয়েছেন বস্ত্র ও পাট সচিব। শেখ হাসিনা নকশী প্রকল্প, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানান।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা জানান, নকশী, কারু ও তাঁত শিল্পীদের জীবনমান উন্নয়নে এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পাটের গৌরব ফিরিয়ে আনাসহ পাটখাত সংস্কারের প্রস্তাবনা থাকছে মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব বাজেটে। এই সংস্কার কাজের মধ্যে থাকছে পাটকল করপোরেশনের অধীনে থাকা তিনটি মিল সুষমকরণ, আধুনিকায়ন, পুনর্বাসন ও বর্ধিতকরণ।
বস্ত্র ও পাট সচিব মো. মিজানুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী বস্ত্র ও পাটখাতকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা পাটখাতের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারে নানা উদ্যোগ নিয়েছি। জানা গেছে, শেখ হাসিনা নকশী পল্লী প্রকল্পকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। এ প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে মূলত নকশী ও তাঁত শিল্পীদের দারিদ্র্য বিমোচন, জীবনযাত্রা ও উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মান উন্নয়নের জন্য। এজন্য সার্ভিস সেন্টার ও ডিজাইন ডেভেলপমেন্ট সেন্টার স্থাপন করা হবে। গত ১২ মার্চ একনেকে এ প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। ৭২২ কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২১ সালের ১ মার্চ। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে জামালপুর সদর উপজেলায় ৩০০ একর জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি খাসজমি প্রায় ৮৯ একর এবং বাকিটা ব্যক্তি মালিকানাধীন। যা পর্যায়ক্রমে অধিগ্রহণ করা হবে। প্রকল্পের জমির ম‚ল্য ধরা হয়েছে ৫৮১ কোটি টাকা এবং ভ‚মি উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৬ কোটি টাকা। ডিও লেটারে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৩০টি প্রকল্পের বাস্তবায়ন চলছে। এর মধ্যে চলতি বছরের জুন মাসে দুটি প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। অসমাপ্ত বাকি ২৮টি প্রকল্প আগামী অর্থবছরের নতুন এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এসব প্রকল্প ছাড়াও চলতি অর্থবছরের (২০১৮-১৯) আরও চারটি নতুন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফলে, আগামী অর্থবছরে এডিপিতে নতুন প্রকল্পের সংখ্যা দাঁড়াবে ৩২টি।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, পাটকলে লোকসানের পরিমাণ কমিয়ে আনতেও বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ১৪টি পাটকল সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে পরিচালনার একটি পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি পাটশিল্পের উন্নয়নে প্রয়োজনে ভর্তুকি এবং ব্যাংক ঋণের সুদের হার কমানোর চিন্তা-ভাবনা চলছে।
পাট মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, নকশী প্রকল্প ছাড়া আগামী বাজেটে পাটখাতের উন্নয়নে মধ্যমেয়াদী সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। মধ্যমেয়াদী সংস্কারের মধ্যে থাকছে-পাটকল করপোরেশনের আওতাধীন তিনটি মিল সুষমকরণ, আধুনিকায়ন, পুনর্বাসন ও বর্ধিতকরণ। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭৪ কোটি টাকা। এছাড়া একহাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে পাট খাত থেকে ‘ভিসকোস’ উৎপাদন প্ল্যান্ট প্রকল্প নেওয়া হবে। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, সংস্কারের আওতায় ৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে উন্নয়ন ও সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এগুলো হচ্ছে করিম জুট মিলস ও দৌলতপুর জুট মিলসে ফেল্ট কারখানা স্থাপন এবং কেএফডি মিলসের বহুমুখী ইউনিটের উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন কার্যক্রম।
এদিকে অর্থ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের জন্য প্রাথমিক সিলিং নির্ধারণ করা হয়েছিলো ৭৮২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এর মধ্যে উন্নয়ন ব্যয় হচ্ছে ৫৮১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। তবে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে হলে আগামী অর্থবছরে উন্নয়ন খাতে ৯৮১ কোটি টাকা প্রয়োজন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
ash ১৪ মে, ২০১৯, ১০:০০ এএম says : 0
KAJ HOBE NA, CHORRR WIPOKAR DOL SHOB KHEA FELBE , JETA PROTIBOSOR E KHACHE! DESHER SHOB SHORKARI MILL KARKHANE ARMY R HATE SERE DEWA WCHITH , JEVABE KHULNAR SHIPYEARD KE DEWA HOESE
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন