বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

ইসলামী ব্যাংকগুলো তুলনামূলকভাবে ভালো করছে

বিআইবিএম’র কর্মশালায় বক্তারা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০১৯, ৪:৩২ পিএম

ইসলামিক ব্যাংকিংয়ে পরিসর অনেক বেড়েছে এবং প্রচলিত অনেক ব্যাংকের তুলনায় ভালো করছে। কিন্তু সে তুলনায় দক্ষ জনবল না থাকায় সঠিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় বিশেষ সার্টিফিকেশন কোর্স চালু করতে হবে। যেখানে ব্যাংকারদের ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করতে হবে। এসব সার্টিফিকেটধারী অভিজ্ঞ ব্যাংকার পদন্নোতি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে বিশেষ সুযোগ পাবে।

বুধবার (১৬ মে) রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ‘ইসলামিক ব্যাংকিং অপারেশনস অব ব্যাংকস’ শীর্ষক বার্ষিক পর্যালোচনা কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এবং বিআইবিএম নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এস এম মনিরুজ্জামান। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএম-এর পরিচালক (প্রশিক্ষণ) এবং প্রফেসর ড. শাহ মো. আহসান হাবীব। তিনি ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের প্রবৃদ্ধির চেয়ে কমপ্লায়েন্সের ওপর বেশি গুরুত্বারোপ করার জন্য ব্যাংকগুলোকে পরামর্শ দেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিআইবিএমের মুজাফফর আহমেদ চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক প্রফেসর ড. বরকত-এ-খোদা, বিআইবিএমের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. শাহ মো. আহসান হাবীব, পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি প্রফেসর হেলাল আহমদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি প্রফেসর ইয়াছিন আলি এবং এক্সিম ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালায় গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক মো. আলমগীর। গবেষণা দলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন বিআইবিএমের সহকারি অধ্যাপক ড. মো. মহব্বত হোসেন, বিআইবিএমের সহকারি অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ এবং এক্সিম ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং হেড অব শরিয়হ সেক্রেটারিয়েট আবুল কাশেম মো. সাইফুল্লাহ।

কর্মশালার উদ্বোধন করে এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে আরও সুদৃঢ় করতে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে। সব ধরণের কমপ্লায়েন্স বজায় রেখে এবং শরিয়হ’র মূল নীতি বজায় রেখে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। তিনি বলেন, সকল ইসলামিক ব্যাংক বা শাখায় শরিয়হ সুপারভাইজরি কমিটি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ভাবে শরিয়হ বোর্ড করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, ইসলামী ব্যাংকিং সার্বজনীন ব্যাংকিং। পুরো বিশ্বে ইসলামী ব্যাংকিং সমাদৃত। ইসলামী ব্যাংকিং হলো সম্পদ ভিত্তিক অর্থনীতি। সেন্ট্রাল শরিয়হ কাউন্সিল মেনে নিয়ে ইসরামী ব্যাংকিং পরিচালনা করতে হবে। ইসলামিক ব্যাংকিং আরও নতুন নতুন পণ্য এনে গ্রাহকদের কাছে আরও জনপ্রিয় করার সুযোগ রয়েছে।

ড. মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া বলেন, ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থায় শরীয়হ পুরোপুরি মেনে চলতে হবে। এখানে আংশিক পরিপালনের সুযোগ নেই। তিনি ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তোলার ওপর জোরারোপ করেন।

ইয়াছিন আলি বলেন, ইসলামিক ব্যাংকিং এখন ধর্মীয় বিষয়ের মধ্যে আবদ্ধ নেই। অনেক বিদেশী ব্যাংক ইসলামিক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে সাফল্য পেয়েছে। সুতরাং দক্ষতার সঙ্গে ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের সুযোগ রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন