বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায় সারাদেশে কৃষকেরা ধানের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে আগুন লাগিয়ে ধানের খেত ও ধানের বস্তা পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। প্রস্তাবে বলা হয়, কৃষকেরা যাতে সরকার ঘোষিত মূল্যে ১০৪০ টাকা মণ দরে ধান বিক্রি করতে পারে সে জন্য প্রতি ইউনিয়নে ক্রয় কেন্দ্র খুলে খোদ কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়। গতকাল তোপখানা রোডস্থ বাসদ কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার প্রস্তাবে বলা হয়, এক মণ ধান উৎপাদন করতে যেখানে কৃষকের ৮০০ টাকা খরচ হয় সেখানে বাজারে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা দরে ধান বিক্রি করতে গিয়ে লোকসান গুনে সর্বশান্ত হতে হচ্ছে কৃষক। সভার প্রস্তাবে বলা হয় কৃষক ধানের দাম না পেলে ভবিষ্যতে কৃষক ধান চাষে নিরুৎসাহিত হয়ে পড়বে। এতে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা অনিশ্চিত হবে।
সভার অপর এক প্রস্তাবে বলা হয় দেশের রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলের শ্রমিকেরা ৩ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ, মজুরি কমিশন বাস্তবায়নের জন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট করে আসছে গত ১৩ মে থেকে। এর পূর্বে কয়েক দফা ধর্মঘট অবরোধ করলে গত ১৫ এপ্রিল বিজেএমসি অফিসে শ্রমিকদের সাথে বৈঠকে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে দাবি মানার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। ঐ সময়ে সরকার তাদের ন্যায়সংগত দাবি না মানায় পুনরায় ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ব ২৫টি পাটকলের ২২ হাজার শ্রমিক বেতন পায় না অথচ বিজেএমসিসহ কর্মকর্তারা পে-স্কেলে দ্বিগুণ বর্ধিত বেতন পাচ্ছে। ধর্মঘটি শ্রমিকদের অনেকের পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহার অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে।
সভার প্রস্তাবে অবিলম্বে ধর্মঘটরত পাটকল শ্রমিকদের বেকয়া বেতন পরিশোধ, ২০১৫ সালের মজুরি কমিশন রোয়েদাদসহ বাস্তবায়ন, পাটখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধিসহ ৯ দফা দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্ব^য়ক ও বাসদ নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন বাম জোটের কেন্দ্রীয় নেতা বাসদ সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান, সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড শাহ আলম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমেরড সাইফুল হক, ইউসিএলবি এর অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, সাজ্জাদ জহির চন্দন, মানস নন্দী, বাচ্চু ভুইয়া, হামিদুল হক, লিয়াকত আলী ও আকবর খান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন