হিমালয়ের কাঞ্চনজঙ্ঘা শৃঙ্গ জয় করে ফেরার পথে গুরুতর অসুস্থ হয়ে আট হাজার ৪০০ মিটার ওপরে আটকে পড়ে প্রাণ হারান দেশটির দুই অভিযাত্রী। তাদের আরও দুই সঙ্গীও বেশ অসুস্থ, তারাও আটকে রয়েছেন কিছুটা নীচে ক্যাম্প ৪-এ, অর্থাৎ শৃঙ্গের দিকে সর্বশেষ ক্যাম্পে।
এর আগে ২০১৪ সালে কাঞ্চনজঙ্ঘা শৃঙ্গ জয় করে ফেরার পথেই প্রাণ হারিয়েছিলেন দেশটির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের প্রথমসারির পর্বতারোহী ছন্দা গায়েন। এর পর থেকে দীর্ঘদিন ঐ রাজ্য থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা অভিযান করা হয়নি। চলতি বছর এপ্রিলে আবারও কাঞ্চনজঙ্ঘা অভিযানে রওনা হন চার বাঙালি অভিযাত্রী, বিপ্লব বৈদ্য, রমেশ রায়, রুদ্রপ্রসাদ হালদার এবং কুন্তল কাঁড়ার।
পশ্চিমবঙ্গের পর্বতারোহী সংগঠনগুলির তরফে জানায়, বুধবার (১৫ মে) খুব ভোরে ওই চারজনই সফলভাবে শৃঙ্গ জয় করেন। তার পর ছিল ক্যাম্প ৪-এ নেমে আসার পালা। ফেরার পথেই হাই অল্টিটুড পালমোনারি ইডিমা-তে আক্রান্ত হন হাওড়ার কুন্তল এবং কলকাতার আনন্দপুর এলাকার বাসিন্দা বিপ্লব।
নেপালের শৃঙ্গ প্রোমোশনাল পরিচালক পাসাং শেরপা জানান, দুই ভারতীয় আরোহী ৮ হাজার ৪০০ মিটার উচ্চতায় সমষ্টি থেকে নেমে আসতে গিয়ে প্রাণ হারান। ভারতীয় বিপ্লব বৈদ্য এবং কুন্তল কাঁড়ার শৃঙ্গ থেকে থেকে নেমে আসার সময় উচ্চতা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মৃতদেহ সম্ভবত শুক্রবার নেপালের রাজধানী কাঠমুন্ডুতে নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
প্রথমে তাদের সঙ্গে থাকা-সহ অভিযাত্রী এবং শেরপারা তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসার চেষ্টা করেন। কিন্তু দু'জনেরই শারীরিক অবস্থার এতটাই অবনতি হয় যে আট হাজার মিটার ওপরেই তাদের রেখে আসতে হয়। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী দু'জনেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং অভিজ্ঞ পর্বতারোহীদের দাবি, ওই জায়গা থেকে এ রকম গুরুতর অসুস্থ অভিযাত্রীকে নামিয়ে আনা অত্যন্ত কঠিন কাজ ছিল।
অন্যদিকে, বাকি দুই অভিযাত্রী রমেশ রায় এবং রুদ্রপ্রসাদ হালদারও ফেরার পথে অসুস্থ হয়ে পড়েন। রমেশ স্নো ব্লাইন্ডনেস-এ আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যায়। তবে তাদের কোনো মতে ক্যাম্প-৪ পর্যন্ত নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। সেখান থেকে খবর দেয়া হয়েছে বেস ক্যাম্পে, উদ্ধারকারী দল পাঠানোর জন্য।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন