ধর্ষক মোস্তফা কামাল লিটন ও তার সহযোগী হুমকি দাতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং জীবনের নিরাপত্তার দাবীতে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে অসহায় নির্যাতিতা জাহানারা আক্তার।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার কুল্লাতলী গ্রামের আব্দুর রাশিদের পুত্র পুলিশ কনস্টেবল মোস্তফা কামাল লিটনের সাথে পারিবারিক ভাবে ২০১৪ সালে ২১ মার্চ আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর জানতে পারি তার আগের একটি স্ত্রী রয়েছে। এনিয়ে সংসারে মনোমালিন্য দেখা দিলে বিয়ের ৭ মাসের মধ্যে উভয়ের সম্মতিতে ৮ অক্টোবর নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে তালাকে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। পরবর্তীতে সে আরেকটি মেয়েকে বিয়ে করেছে। গত এক বছর যাবৎ সাবেক স্বামী লিটন বিভিন্ন ভাবে আমার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। তার সাথে একদিন কথা বলার পর সে আমাকে প্রায়শই মোবাইলে ফোন করে দেখা করার কথা বলে। বিগত ২৮ ফেব্রæয়ারী সে আমাকে দেখা করতে বললে আমি তার সাথে দেখা করি। সে আমাকে ফুসলিয়ে নেত্রকোনা জেলা শহরের কোর্ট স্টেশন রোডের চন্দন গেস্ট হাউজে নিয়ে যায়। সেখানে তার মোবাইলে গোপনে ধারণকৃত আমাদের দাম্পত্য জীবনের মেলামেশার পূরনো আপত্তিকর ছবি দেখিয়ে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর থেকে সে প্রায়শই আমাকে ফোন করে ইন্টারনেটে সেইসব ছবি ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ধর্ষন করার চেষ্টা করে। আমি এসবের প্রতিবাদ করলে সে তার যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে ‘কামাল কামাল’ নামক ফেইসবুক আইডি থেকে আমার বান্ধবী ‘নুসরাত জাহান মনি’ নামক ফেইসবুক আইডি’র মেসেঞ্জারে আপত্তিকর ছবি প্রেরণ করে। তারপর সে আমার আত্মীয় স্বজনের কাছে এসব ছবি দেখিয়ে আমার চরিত্র হণণের চেষ্টা চালায়। গত ১৩ মে বেলা আড়াইটার দিকে নেত্রকোনার কুরপাড়স্থ পপুলার হাসপাতালে এসে আবার বø্যাক মেইলিং করতে চাইলে আমি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চাইলে পুলিশ অভিযুক্ত লিটনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে আমি বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মানিকুল ইসলাম তদন্তকালে পুলিশের পক্ষ নিয়ে আপত্তিকর কথা বলায় এবং বিভিন্ন রকমের অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শণ করায় আমি অনেকটাই বিব্রত। এরপর থেকেই নেত্রকোনা মডেল থানায় কর্মরত লিটনের সহোদর ভাই ওমর ফারুক খোকন ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপ-চেষ্টার পাশাপাশি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে নানা ধরণের ভয়ভীতি প্রদর্শণ ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। ধর্ষিতার করুণ আর্তনাত, আমি কি রাষ্ট্রের কাছে আদৌ ন্যায় বিচার পাব? সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জীবনের নিরাপত্তা এবং তার সঙ্গে হয়ে যাওয়া পাশবিক যৌন নির্যাতনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবী জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন