শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

‘রোজা আত্মশুদ্ধির মাধ্যম’

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৭ মে, ২০১৯, ৫:৩১ পিএম

সিয়াম সাধনা আত্মশুদ্ধি ও আত্মগঠনের অন্যতম মাধ্যম উল্লেখ করে ঐতিহাসিক আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা সাইয়্যেদ মুহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন তাহের জাবেরী আল-মাদানী বলেছেন, রোজা মানুষের মাঝে সততা, নিষ্ঠা ও আমানতদারী তৈরী করে এবং এসবের উৎকর্ষ সাধন করে। রোজা কঠিন বিপদে ধৈর্য্য ধারণের সবকও দিয়ে থাকে।
পবিত্র মাহে রমজানের দ্বিতীয় জুমার খুৎবায় তিনি আরও বলেন, রোজাদারেরা যখন আল্লাহর ভয়ে পানাহার ত্যাগ করে, তার সন্তোষ্টির জন্য মানবিক বৈধ চাহিদাও দমন করে তখন সে অবশ্যই গিবত, চোগলখোরীর মতো হারাম অভ্যাস ত্যাগ করতে সক্ষম। কোন রোজাদার মিথ্যা বলতে পারেন না, প্রতারণা করেন না, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন না। রোজাদারের পক্ষে কোন ধরনের দুর্নীতি এবং অন্যায় আচরণ করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, মূলত সিয়াম সাধনা হারাম থেকে বাঁচিয়ে রাখে এবং সৎকর্ম সম্পাদনে ও সুন্দর আচরণ আর সৎচরিত্র অর্জনে সহায়তা করে। এ জন্য তো আল্লাহ বলেন- ‘সিয়াম সাধনা ফরজ করা হলো যেনো তোমরা মুত্তাকি হতে পারো’। সিয়াম সাধনা কৃতজ্ঞ বান্দা হওয়ার আহ্বান জানায়। রমজানে হালাল পানাহার ও বৈধ চাহিদা সমূহ থেকে যখন প্রবৃত্তি বঞ্চিত থাকে তখন দিবসের অবসানে ইফতার করার মুহুর্তে আল্লাহর নিয়ামতের প্রতি কৃতজ্ঞতা বেড়ে যায়।
সিয়াম সাধনা অতীত গুনাহ সমুহ মাফ করে দেয় জানিয়ে হাদিসের উদ্বৃতি দিয়ে খতিব বলেন, যে ব্যক্তি পরিপূর্ণ ঈমান ও আত্ম উপলদ্ধিসহ পুন্য প্রাপ্তির প্রত্যাশায় মাহে মরদানের সাউম পালন করে, তার অতীতের গুনাহ সমূহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। সিয়াম পালনকারীদের দুটি আনন্দ। একটি হলো ইফতারের সময় আর অন্যটি মহান আল্লাহর সাথে মিলিত হওয়ার সময়।
বিনা ওজরে একটি রোজাও যেন কাজা না হয় সেদিকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তাহের জাবেরী বলেন, যারা সাউম পরিত্যাগ করে তাদের প্রতি আল্লাহ পাক বেশি রাগান্বিত থাকেন। আর যে আল্লাহ পাকের ক্রোধের শিকার হয় সে উভয় জাহানেই চূড়ান্তভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যায়। চট্টগ্রামের আদি মসজিদ হিসাবে পরিচিত এই সমজিদে গতকালের জুমায় প্রায় দশ হাজার মুসল্লির সমাগম হয়। জুমার জামাতের কাতার মসজিদ ছাড়িয়ে আশপাশের সড়কে পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। আযানের আগেই মসজিদে আসতে শুরু করেন মুসল্লিরা। সবশ্রেণি পেশা আর বয়সের মুসল্লির সমাবেশ ঘটে। আযানের পর সুন্নাত নামাজ শেষে জুমার খুৎবার বাংলা তরজুমা পেশ করা হয়। এরপর সানি আযান শেষে খুৎবা পেশ করেন খতিব। নামাজ শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মার কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। জুমার নামাজ শেষে প্রতিদিনের মতো মসজিদ চত্বরে শুরু হয় তাফসিরুল কোরআন মাহফিল। মাহে রমজান উপলক্ষ্যে মাসব্যাপী এই তাফসির মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন