সমাজ ও রাজনীতির সর্বত্র আজ হিংসা-প্রতিহিংসা ছড়িয়ে পড়েছে। অথচ গৌতম বুদ্ধ অহিংসা ও মানুষে-মানুষে গভীর ভালোবাসার বাণী প্রচার করে গেছেন। আজকে আমরা বাংলাদেশসহ বিশ্বে সেই অবস্থা দেখতে পাচ্ছি না। প্রতিদিন আমরা শুনতে পাচ্ছি অধিকারবঞ্চিত মানুষের কান্না, চারদিকে হাহাকার আর যন্ত্রণা। গতকাল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে দেয়া বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মির্জা ফখরুল বলেন, বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধ অহিংসা ও মানুষে-মানুষে গভীর ভালোবাসার বাণী প্রচার করে গেছেন। তিনি নিজ অনুসারীদের চিরন্তন বাণীতে মানবকল্যাণে ব্রতী এবং জীবের প্রতি প্রেম দেখাতে উদ্বুদ্ধ করে গেছেন। তিনি বলেন, গৌতম বুদ্ধ বলেছেন- হিংসা দিয়ে হিংসাকে জয় করা যায় না, বরং শরণ নিতে হয় অহিংসার। আজ বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব রক্তাক্ত, হানাহানি ও সঙ্ঘাত-সংঘর্ষে ক্ষতবিক্ষত। এই দুর্যোগময় মুহূর্তে গৌতম বুদ্ধের হিতোপদেশ মানুষকে অহিংসা ও ন্যায়ের পথে চালিত করবে। শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবপ্রেম সব ধর্মের মর্মবাণী। আমার দৃঢ়বিশ্বাস, আজো বিশ্বসমাজে শান্তি ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠায় গৌতম বুদ্ধের বাণী অতীব প্রাসঙ্গিক।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, মহামানব গৌতম বুদ্ধ ত্যাগের মধ্য দিয়ে সুখ আহরণের এক অনন্য দৃষ্টান্ত। সব মায়াবী বন্ধন উপেক্ষা করে চলার পথের সব প্রতিক‚লতাকে সহ্য করে তিনি বোধিজ্ঞান বা বুদ্ধত্ব লাভ করেন। এর মাধ্যমে তিনি জগতের সব প্রাণীর কল্যাণ, সুখ ও মঙ্গলের জন্য নিরন্তর ধর্ম প্রচার করেছেন। ন্যায় ও অহিংসাই হচ্ছে তার বাণীর মূল প্রতিপাদ্য। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা জানি, গৌতম বুদ্ধ সমাজে ঐক্য-সংহতি প্রতিষ্ঠার জন্য সপ্ত অপরিহনীয় ধর্ম প্রচার করেছিলেন। মানুষের নীতি, আদর্শ, ভালোবাসা এবং সকল স্তরের মানুষের কল্যাণের জন্য মঙ্গলসূত্রের বাণী প্রচার করেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন একটি সুখী-সমৃদ্ধময় আলোকিত সমাজ। যে সমাজে কোনো ধরনের হিংসা-প্রতিহিংসা থাকবে না, থাকবে না কোনো সঙ্ঘাত-সহিংসতা। আজকে আমরা বাংলাদেশসহ বিশ্বে সেই অবস্থা দেখতে পাচ্ছি না। প্রতিদিন আমরা শুনতে পাচ্ছি অধিকারবঞ্চিত মানুষের কান্না, চারদিকে হাহাকার আর যন্ত্রণা। তিনি বলেন, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শনেই এ দেশের সকল বর্ণ, ধর্মীয় সম্প্রদায় ও নৃগোষ্ঠী একত্রীভূত হয়। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ সবাইকে একই বন্ধনে আবদ্ধ করে। পরস্পরের মধ্যে শুভেচ্ছা ও সৌহার্দ্য সৃষ্টি করে। মির্জা ফখরুল বলেন, এ মুহূর্তে মহামানব গৌতম বুদ্ধের বাণী আমাদেরকে আগামীতে হিংসাবিদ্বেষ ভুলে সুদিনের পথে এগিয়ে যেতে প্রেরণা জোগাবে। তিনি বুদ্ধ পূর্ণিমার সাফল্য এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী সকলের সুখী ও শান্তিময় জীবন কামনা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন