বরগুনার তালতলী উপজেলার কচুপাত্রা গ্রামের শ্বশুর কাঞ্চন আলী হাওলাদারের নির্যাতনে পুত্রবধূ ফাতেমা বেগম আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
জানা যায়, কচুপাত্রা গ্রামের কাঞ্চন আলী হাওলাদারের পুত্র আবদুল জলিল হাওলাদারের স্ত্রী ফাতেমা বেগম। স্বামী জলিল হাওলাদার ও স্ত্রী ফাতেমা বেগমের দাম্পত্য জীবন বেশ ভালোই কাটছে। তাদের ঘরে দুটি সন্তান রয়েছে। কিন্তু পুত্রবধু ফাতেমা বেগমকে নানা অজুহাতে শ্বশুর কাঞ্চন আলী হাওলাদার সহ্য করতে পারেন না। বিভিন্ন সময় শ্বশুর কাঞ্চন আলী পুত্রবধূ ফাতেমাকে মারধর করে আসছে। এ বছর জানুয়ারী মাসে শ্বশুর কাঞ্চন আলী হাওলাদারের কাছে জমির ধান চাওয়ায় ফাতেমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। গত চার মাস ধরে ফাতেমা স্বামী-সন্তান নিয়ে বাবা আকবর গাজী বাড়িতে অবস্থান করছে। এ নিয়ে শ্বশুর কাঞ্চন আলী হাওলাদারের সাথে পুত্রবধু ফাতেমার সাথে কয়েক দফায় শালিস বৈঠক হয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবুল বাশার বাদশা তালুকদারের নির্দেশে দফাদার কুদ্দুসকে সাথে নিয়ে পুত্রবধূ ফাতেমা শুক্রবার সকালে শ্বশুর বাড়িতে যায়। ওই বাড়িতে পৌছা মাত্রই কুদ্দুস দফাদারের উপস্থিতি শ্বশুর কাঞ্চন আলী হাওলাদার, ভাসুর সুলতান হাওলাদার ও ননদ শিল্পী বেগম পুত্রবধূ ফাতেমা বেগমকে বেধরক মারধর করে। আহত পুত্রবধূকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল সকালে আহত পুত্রবধূ ফাতেমা বেগম বলেন, বিয়ের পর থেকেই আমার শ্বশুর, ভাসুর, দেবর ও ননদ মিলে আমাকে নির্যাতন করে আসছে। শ্বশুরের নির্যাতনে গত চার মাস ধরে স্বামী-সন্তান নিয়ে বাবার বাড়িতে অবস্থান করেছি। শুক্রবার কুদ্দুস দফাদারকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে আসলেই আমাকে শ্বশুর, শাশুরী, ভাসুর ও ননদ মারধর করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
তালতলী থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় বলেন, আমি এ ধরনের অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন